আমার ছিলো একটি মাত্র চাওয়া
হাসির রেখায় নরসুন্দার
কোলটি ঘেষে যাওয়া
কালো মেয়ে, মনের পেতল খাঁচায়
বাসলো ভালো কোন সে চটুল আশায়
তখন থেকেই মন ধুকপুক করে
নান্দাইলে কাটলো যে দিন
আহা! একটি বছর ধরে


বলেছিলো
কি চাও তুমি? ছোট্ট ভূমি?
না, তাও দেবো না মোটে
শুকনো নদী নরসুন্দা
দেবো লিখে একনোটে      


শীতল জলে ডুবটি দিয়ে ভেবো
এক লহমায় আমার হবে কিনা
আমার ঘাটে ভিড়লে তোমার
ঠক হবে না জেনো


শুকনো ঘাটে জল শুকিয়ে খা খা
বালুর মাঝে মুখ লুকালো নদী
বর্ষা এসে মাল্লা মাঝি যদি
পানসী করে নেয় তোমারে সাথে
এসো আমার ঘরে না হয় এসো
শুটকি চ্যাপা পিয়াজ মরিচ মেখে
দেবো তোমায় আমন ধানের ভাতে।


আচার গাঁওয়ের আচার মেখে
চণ্ডীপাশা বিলে, চৈতিরাতের প্রথম প্রহর
মাছ ধরবার গেলে
সঙ্গে নিও ফকির বাঁশি, সারাটি রাতভর
মোমেনশাহীর গান শোনাবো মলুয়া সুন্দর।


হাসি কান্নায় কাটলো বছর
চোখের পলকে
নতুন কাজে আসতে হলো খুলনা শহরে
বিদায় বেলায় দিলাম তারে
অনেক অনেক আশা
মুরগি কিনে দিয়ে এলাম ডিম বাচ্চা হলে
আসবো খাবো থাকবো আবার
বাঁচবে ভালোবাসা।


হায়! জীবনে আর হয়নি যাওয়া
হয়নি যোগাযোগ
মনের ভেতর সেই থেকে যে
চলছে করুণ শোক
কেমন আছে সেই গাঁয়ের কালো মেয়ে
শুকনো নদীটা
মনটাই যে শুকিয়ে গেছে, কে নেবে আজ
এই মনের বারতা!
__________________________
♦কবিতাটি ১৯৯৮ সালের লেখা। তৎপূর্বে ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি বছর কর্মময় জীবন ও জীবনের ঘটনাবহুল ঘটনার একছটা এখানে অতি অগোছালো ভাবে তুলে আনা। কোন কাটছাট ছাড়া খাতা হতে তুলে দিলাম।♦