অখিল, তুই যেদিন শেষ এসেছিলি,
আমার সাথে তোর দেখা হয় নাই বলে
কষ্ট পেয়েছিলি খুব।
জানিস ?
আমার উঠোনে এখনো রোদের ঝিকিমিকি চলে, এখনো টুনটুনি বাসা বাঁধে ডুমুরের ডালে
এখনো জোড়া কবুতর ডেকে চলে অবিরাম
বাকুম বাকুম
এখনো কাঠবিড়ালিরা খেয়ে চলে কচিকাঁচা ফল
আমার মায়ের চোখ এখনো ঝাপসা হয়ে যায়
অপেক্ষার পথে
হয়তো আমাকেই খুঁজে চলে, নয়তো তোকে !


ফসলের বারোমাসি  ধুম চলে সহজিয়া সবুজ গাঁয়ে
মেঠোপথ ধরে এখনো মনে হয় বন্ধু অখিল হাঁটে
এখনো ধুতরার কালোফলে পাগল অখিল
যেন কামড়ে চলে পেঁয়াজের সাথে পান্তভাতে।


সেবার আমার সাথে দেখা হয় নাই বলে
কান্না তোর থামছিল না মোটে ;
কেন তা বলে যাসনি আর
সেই তোর চরম যাওয়া ----------


সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী পরে মধুখালীর অখিল যেদিন প্রথম এসেছিল আমাদের স্কুলে,
শান্ত সেই ছেলেটি একদিন মাঠ নাচালো, বক্তৃতার মঞ্চ কাঁপালো, হাট বাজার বাড়ি ঘর সাঁতার কাটা পুকুর সর্বত্র ছোঁয়া রেখে গেলো তার, এমনকি কলেজের ফাংশনের গোলমালে প্রধাণ অতিথির কবুতর উড়িয়ে  উদ্বোধনের বদলে, নিজেই কবুতর উড়ালো অখিল ভীষণ প্রতিবাদে


কোন এক অজ্ঞাত কারণে অখিল পাগল হোল
ভাঙলো ফুটের টব, কলেজের আলমারী, পাইকারী বাজার, শিশুর কান্না খানিক, ফেলে আসা জীবনের ভুল, সরকার নিভার অয়োময় মন আর আমাদের  সময়ের বন্ধু আড্ডাটা খুব।
*****************************