হাজার বছরের লালিত স্নপ্ন, একটি নিভৃত কর্ষণযোগ্য ভূমি, পরিপাটি মায়ের ভাষা আর  আমাদের পরম্পরা
এইটুকুই তো ছিল চাওয়া।


আমরা মসনদ চাইনি একরোখা, যা চেয়েছি তা আমাদের অধিকার, আমাদের নিজস্ব, আমাদের অস্তিত্বের দায়বদ্ধতা।


চেয়েছি স্রষ্টার এই বিপুল আয়োজনে
আমি কেন কষ্টের নদী সাঁতরে সাগরের বিপুলায়তনে
খাবি খাবো?  আমি কেন ওপারের দরজায় উঁকি দেবো ভিখারীর বেশে? নষ্টের বেড়িতে ডুবিয়ে পা?


আমার বুকে আগুন জ্বেলে,আমার বুকে কর্ষণ করে
পুষ্ট ছারপোকা পরিণত ইঁদুরের মত খুড়ে খুড়ে
সুড়ঙ্গ, পার করে নিয়ে গেল দীর্ঘ সময় ;


অনবরত রক্তাক্ত পিছলে পড়া কংকাল ভূমি,
অত্যাসন্ন সোনালী সূর্যের প্রত্যাশায়, একমুঠো সুখ দেবো দুপুরের ভাত ঘুমে ; অথচ,
গড়াগড়ি গেলো স্বপ্ন ইতিহাস, বিবর্ণ দুঃখের বসতি।


তাই আমি মোচড়  দিয়ে উঠি।
সর্বাঙ্গে মাখি আগুনজ্বলা  মাটি,  আত্মাহুতি স্নানে।
আমার জন্মভূমি বাংলা, কিনে আনি ;
কিনে আনি চরম দামে
আমাদের প্রত্যাশার আলোয় হাঁটবো বলে।