দুঃখের সমস্ত জমিন চাষ করে চলে গেলেন
কবিতার চাষী আবুল হাসান।
একচিলতে জমিও আর অনাবাদী নেই বুকের ভেতর
অনাবাদী নেই কালপোড়া অসহ্য বেদনার।


অতঃপর পরমায়ু চাষ করে যাবো বলে দীপ্যমান
কবিদের কলম যুদ্ধ করে কবিতার সত্যিই কি হবে অবসান ?


পৃথিবীর সমস্ত কবিতায়
দুঃখের মিছিলটা কেন এতো লম্বা হয়
কেন এতো টন টনে ব্যথায় কবিদের কবিতা দুলে ওঠে
বিয়োগ বেদনাহীন লেখনি  যায় না লেখা মোটে  ?


আমাকে কী দিতে পারো এক চিলতে অনাবাদী
দুঃখের জমিন বারোমাস
দিতে পারো বেদনাহীন অশ্রুহীন নির্জন আকাশ !?
বলতে পারো নির্জনে শান্ত আকাশ কেন কাঁদে
বলতে পারো দুঃখের হাসি কেন হাসে কাঁচির মতো একফালি চাঁদে!


উত্তর জানা নেই আর
মনে হয় যেন নির্ঘুম কবি নেই একজনও সঠিক সত্ত্বার
জাগেনা কবিতা তাই প্রেমে, বেদনা বিদ্রোহে
জাগেনা স্লোগানে, গানে গানে, মেলা আর উৎসবে।


এসো হে অনাগত দুরন্ত, চঞ্চল প্রজ্ঞার কবি
আর কতকাল ঘুমিয়ে কাটাবে
আর কতকাল আঁধার ঘরে আলোহীন সবই
দুঃখের নদী সাঁতরাবে?
দুঃখের চাষকৃত জমিনে আজ ফলাবো দক্ষিনার সুখ
প্রাণভরে হাসির মাঝে নেব নির্মল নিঃশ্বাস একবুক।


এসো নির্বাসনে পাঠাই, আলোর পথে হাঁটি কিছুটা পথ
কবিদের কবিতায় চলুক না জোরেসোরে
চালিয়েই যাই অনন্ত সুখের রথ।
****************************
০৯/০৪/২০