কার্তিকের সন্ধ্যায় মধুমতী নদীটির তীরে ধেয়ে আসে
কতকগুলো অনাহুত বিনে ভালোবাসার মেঘ
কিছুটা ঝড়, বৃষ্টি আর
কতকগুলো কষ্ট আলিঙ্গন
শির শিরে শীতের আবাহন।


তাহলে কি গান গাওয়া হবেনা আগামীর---?
মেলা কি আর মিলবে না পাটগাতী হাটে?
আমাদের হিসেবের খাতা হতে কি  চুরি হয়ে যাবে
সমস্ত আনন্দ শিশুদের?
ওদের সাথেও তো মিশে যেত ছেলেমেয়ে হতে
বৃদ্ধ বয়সী কিংবা যুবা।


বাঁশী আর শোলার টুপির বড় শখ
নেই সেই অবেলার ডাক, লাটিমের ঘু্র্নি নেই
চিড়েমুড়ি মোয়া আর নাড়ুদের ঠিকানা ইতিহাস
পুতুলের নাচ, পশুপাখি, পুরুষ রমনী দিয়ে
জোড়াতালি সার্কাস, বিলীন হয়েছে সব ;
পিঠে পুলি হৈ হৈ, কালাজ্বর ম্যালেরিয়া
তামাক টানার সাথে হোসেনের পুঁথি পাঠ
গাছিদের ছুটোছুটি খেজুঁরের গাছে গাছে
হারিয়ে গিয়েছে কই?


নতুন চরের গানে      কৃষকের প্রানে প্রানে
                লাঙলের চাষে
শর্ষের ফুলে ফুলে      দিগন্ত উঠত দুলে
              বাংলায় বারোমাসে
আজ তার স্মৃতিখান সাথে, আমরা হেঁটেই চলেছি
পৃথিবীর সব হাইব্রীড উন্নতির রথে।


কার্তিকের বাজনা তাই বাজেনি এবার
ভালোবাসাহীন মেঘেদের আনাগোনা
বেড়েই চলেছে ক্রমাগত।