কয়েকদিন বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে। তারমধ্যেও বাংলা কবিতা আসর প্রেমিকার মতো টেনে আনে। সময় সুযোগ হলেই খুলে বসি। পড়ি আসরের নানা গুণীজনের লেখা। এ আসরে লেখার কোন মতামত বা মন্তব্য প্রদান করলে তা দেখা যায়, কার লেখায় কতটা মতামত বা মন্তব্য পড়লো সে সংখ্যা মন্তব্য কলামে লেখা থাকে। ভেতরে ভেতরে কবি লেখকের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা চেতনা জাগে, যেমন করেই হোক এতোগুলো মতামত বা মন্তব্য না হলে সম্মান থাকে না। তাই অপ্রিয় হলেও সত্য কথা, একটা ক্ষতিকারক প্রবনতা দেখা দেয়। লেখাটা না পড়েই একটা কপি মতামত/ মন্তব্য প্রায় প্রত্যেক জনেই  আমরা করে থাকি। (নিশ্চয়ই ব্যতিক্রমী লেখাও ব্যক্তিও আছেন) এতে করে অপেক্ষাকৃত নিন্মমানের লেখা লিখেও আমরা ভালো ভালো মন্তব্য পেয়ে খুশীতে গদগদ হচ্ছি । প্রকারান্তরে এতে উপকার থেকে আমার মতো অকবির ক্ষতিই বেশী হচ্ছে। উৎকৃষ্ট সাহিত্য রচনায় যে সময় শ্রম খাটানোর দরকার, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না।
আবার কত সংখ্যক পাঠকে লেখাটা পাঠ করলো বা কতবার পাঠ হলো সে সংখ্যাটাও জানার ব্যবস্থা এ আসরে আছে। সবই থাকুক আমার তাতে কোন সমস্যা নাই। আজ কিছুক্ষণ আগে এ আসরে ঢুকে আমার মোবাইল স্ক্রিনে কোন লেখার সামনে কয়টি মন্তব্য পড়েছে সে সংখ্যাটি দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু লেখায় ঢুকে রীতিমত দেখা যাচ্ছে। এটা দেখেই এক মুহূর্তে ভাবলাম এটা একটা চমৎকার ভাবনা। এরকম যদি থাকে (কোন যান্ত্রিক ত্রুটি কিনা, জানিনা)  তাহলে কার লেখায় কয়টা মতামত পড়লো অন্তত সেটা দেখে গুনে আমরা মতামত দেয়ার প্রবনতা হতে সরে আসবো। সংশ্লিষ্ট কবির লেখায় গিয়েই আমরা দেখতে পারবো। এতে করে কবিতার পাঠ সংখ্যা বাড়বে। নবীন কবিদের লেখায়ও উৎসাহ উদ্দীপনাা বাড়বে।
আমার মতে এরূপ থাকাটাই শ্রেয়। প্রয়োজনে পুরাতন লেখা বিশেষ করে ২/১ দিন আগের লেখায় মন্তব্যের সংখ্যা দৃশ্যমান করলে মন্দ হয় না।বাংলা কবিতার মাননীয় এডমিন মহোদয়গন আমার থেকে ভালো বুঝবেন। যেটা হলে অধিকতর ভালো নিশ্চয়ই সেটাই করবেন। আমি কেবলমাত্র একটা মতামত দিলাম। সকলেই ভালো থাকুন। উৎকৃষ্ট সাহিত্য উপহার দিন আর আমরা সমৃদ্ধ হই।