কবিতার শব্দ নিয়ে ভাসি, ভাসতেও চাই
বহুকাল স্বপ্নকে ছায়া করে আমাকেই চিনতে চাই অহেতুক স্বপ্ন-গনিতায়
তবু পাড়ভাঙ্গা স্রোতস্বিনী নদীর মতো মন ভেঙ্গে সরব শব্দ প্রক্ষেপণ করি ইথারে চরম ইচ্ছার।


কবিতা আসে জোনাকির আলোয়, কখনো জোছনায়
শব্দের ফোঁড়নে ফোঁড়নে, সুরম্য অট্টালিকার মতো গেঁথে যাই প্রেম, প্রকৃতি, স্মৃতির শৈশব আর
দূরে আবছায়ায় তাকিয়ে দেখি শব্দের রশদ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার জনমদুখিনী মা
সামনে খোলা মাঠ, সুদৃশ্য সবুজ গম্বুজ-
তার নীচে শায়িত প্রাচীন, আদি হতে অন্ত, স্রষ্টার আপন।


প্রত্যহ গনিত সূত্রের মতো গুনতে থাকি এক তিন পাঁচ, পাঁচ তিন এক। সম্মুখ থেকে পশ্চাৎ, পশ্চাৎ থেকে ফেরা, শব্দের ঘরে দুঃখের আনাগোনা
কোথাও দেখতে পাই না মায়া ভরা চোখ, চোখের কোণে মানুষের আশা
হায়রে! আগলে রাখা অসহায় সময়!
পৃথিবীটা আজো কেন হয় না কবিতাময়?