ঘুরতে বের হই মাঝে মধ্যে
আমি তো আর কাঠমুণ্ডু, ফুকেট, পাটায়া, কাঞ্চনজঙ্ঘা যেতে পারিনা,নায়াগ্রা  কিংবা চীনের মহাপ্রাচীরে  খরচপাতির একটা ব্যাপার আছে
বিনা খরচে তাই মনে মনে বেড়াতে যাই
বহুকাল আগে ফেলে আসা গ্রিনল্যান্ডের বাড়ি, কামচাটকা কিংবা উত্তমাশা অন্তরীপে
কখনো বা দক্ষিন মেরু রাতদিনের একটি বছরে।


চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়ে বড্ড মজাই পাই
হাজার নক্ষত্রের দেশে দেশে যখন আমি ছুটে চলি
বেশুমার বেগে, কোন কূল নাই কিনারা নাই।


আচ্ছা!  মনের কি কোন কূলকিনারা পাওয়া যায়  ?
খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ গুলোর মনটার !
অনেক, অনেকটা বড় মন ওদের
কিন্তু তারও একটা সীমানা থাকে
যে সীমানায় থাকে দুঃখ, কষ্ট, ক্ষুধা, জ্বরা আর পাওয়া না পাওয়ার দীর্ঘশ্বাস।


ওরা তো আকাশছোঁয়া বাড়ি টাকার ছড়াছড়ি
ভোগবিলাস আর অহমিকার জীবন চায়নি কখনো?
স্নেহ মায়া মমতা আর ভালোবাসায় জড়ানো
জীবনটাই বা কম  কিসের ?


আমি তো ওখানেই মিশে আছি আজন্মকাল
ওখানেই বেড়াই, আনন্দ পাই
চাঁদের কিংবা নক্ষত্রের বাড়ি, কাঠমুণ্ডু, ফুকেট,  আর কাঞ্চনজঙ্ঘা এসবকিছু নস্যি হয়ে যায়।
*****************
টুঙ্গিপাড়া,