তোপধ্বনি শোনা যায়
একটি পতাকা পেয়েছি, প্রিয় দেশ, প্রিয় স্বাধীনতা
একটি মুখের ভাষণ শুনেছি সাতই মার্চ
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা।


একটি ন্যয় সংগত সংগ্রাম শেষে
ঘরে ফেরা না ফেরাদের  বিজয় কান্না
স্বজনের ভালোবাসা
বিবর্ণ বাবার চোখে ঝলমলে অশ্রুর পতন
বাক হারা বোন, আমাদের মায়ের
বয়ে নিয়ে চলা কষ্টের সন্তাপ
একটি নাম না জানা ভোরের সন্ধ্যানে।


অথচ দুঃখের তাপিত আলোয় বিবর্ণ  ভালোবাসাগুলি
কী এক মোহমন্ত্র যাদুবলে
একসুতোয়, একমোহনায় নিয়ে এলেন
একজন হ্যামিলিয়নের বাঁশির মানুষ
কী অপূর্ব বিশ্বাসে, কী যাদুর ইন্দ্রজালে
খোকা থেকে নেতা, নেতা থেকে পিতা হওয়া
এমন হেঁটে যাওয়া পৃথিবীর হিমালয় মানুষ
তাঁকে হারালে!


পতপত করে ওড়ানো পতাকা যাঁর হাতে দেখবো বলে
রক্তাক্ত হোল এ বাংলা
দুঃখের জমিনে বুনে দেবো সুখেদের বীজ
অগোছালো দুনিয়াটা সাজাবো যতন করে
একফালি চাঁদের হাসি জৌলুসে
ছড়াবে আলো সূর্যের মত
পাশ ফিরতে না ফিরতেই হায়েনার
কালো হিংসায় তাঁকে চলে যেতে হয়!


মাশুল গুনতে হলো প্রকাণ্ড কষ্ট সময়।


আজ বইছে দখনে বাতাস
আস্থা ফোটে পদ্মফোটা দেশে।


পিতার যোগ্যসূরির হাত উড়ায় পতাকা।
ভোরের বাতাসে ভাসে তোপের ধ্বনি।