সময় থাকলেই মধুমতী চুম্বকের মতো টানে
তাই ছুটে যাই দিকভ্রান্তের মতো
কী এক সম্মোহনী শক্তি তার
যুগ যুগ ধরে এমনভাবে আকর্ষিত করে যায়
মনে হয় যেন মায়ের কাছে ফেরা....


দূরে কোথাও হাত বাড়ালেও বুকের মধুমতী
ছলাৎ ছলাৎ করে ওঠে
এই তীরে আমার বাপের বসবাস ছিল
তারও বাপ দাদা পূর্বপুরুষ কাটিয়েছে তাদের জীবন
একই সুর তাল ছন্দ আর অনুভূতি
সবই ছিল তৎপর
কেবল পাল্টে গেছে মানুষগুলো পাল্টে গেছে সময়।


খেয়া পারাপারের নোয়াবালি চাচা, আজ আর নেই
তার বংশ পরম্পরা এখনো ইঞ্জিন ওয়ালা নৌকা নিয়ে পার করে অন্ধকার
কেবল শেকড় বাকড় নিয়ে তিনশো বছর ধরে
টিকে আছে ডান পারের সেই ন্যাড়া বটগাছ
বহুবার ভাঙ্গনের ছোবলে পড়লেও কুদরতি হাতে দাঁড়িয়ে এখনো নিঃশ্বাস নেয় ঠিকঠাক।
শুধু খবর বলতে পারেনা আমার বাবা দাদা
কিংবা তারও পূর্বপুরুষ  
কী গান গেয়েছিল এই বটের ছায়ে.....
কোন বেদনার বাঁশি বাজিয়ে ভুলিয়ে দিয়েছিল
ভাঙ্গনের অভিশাপ !!


তবু নতুন চর জেগে ওঠে কার্তিকের অন্ধকারে
মনের গহীনে স্রোতহীন ম্রিয়মাণ নদীর বুকে
কারো চোখের জলে রোপিত হয় নতুন ফসল
কারো স্মৃতির জল ঝরে পড়ে কান্না হয়ে....


ও'পারে ইটের ভাটার চিমনীতে ধোয়া ওড়ে
কালো ধোয়া
মনের আয়নার ধোয়া ওড়াই কী করে ?