কবিতা লিখি আর প্রচার মাধ্যমে প্রতিদিন হেরে যাই, পূর্ণিমা পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় প্রনব ভট্ট গল্প ছাপাতে সম্পাদককে একভরি ওজনের স্বর্নের চেইন বুকের পকেটে ছেড়ে আসে, আমার মতো ছা পোষা তা পারেনা
অথবা সাইফুল্লাহ মাহামুদ দুলালের মতো অতো নামীদামী নই বলে কোন ঈদ সংখ্যায় কবিতা ছাপা না হবার পরাজয়ের আনন্দ নিয়ে  ঈদ কাটাই
এটাই বা কম কিসে?
*
সম্পাদক এখন সাহিত্য ব্যবসা করেন,গল্প কবিতা ছাপতে হলে গোপন দরবারে পছন্দ করেন
পত্রিকা ছাপবার খরচসহ মোটা মুনাফা এখন তথাকথিত কবি সাহিত্যিকগনই দিয়ে থাকেন।
*
প্রকাশকেরা কসাই! না ভুল কথা। শরীয়তী নিয়মে মেয়ে পক্ষ পণ নিয়ে মেয়ের বিবাহ দেবেন,সে নিয়ম এখন উল্টে গেছে
পত্রিকার মালিক পক্ষ প্রকাশকগন ও এখন উল্টো অগ্রীম অর্থ নিয়ে সাহিত্য  ছাপেন। ব্যবসা রমরমা।
*
সাহিত্য আগের জায়গায় কী করে থাকে? অবৈধ অর্থের কাছে বিক্রয় হয়ে যায় সাহিত্যপাতা, বাংলা একাডেমী, শাহাবাগ চত্তর আর সব পুরস্কারের লোলুপ থাবা।
পা চেটে চেটে ধরে থাকেন পদ আর পদবী।
বের হয়না অদ্বৈত মল্লবর্মন,আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস
আবুল হাসান, রুদ্র শহিদ, শহীদ কাদরী।
*
অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে ফেসবুকই নিয়তির আশ্রয়।
******************************
১০/০৫/২১