শীতার্ত রাতের কাছে একবার জানতে কি চাও, হে! ভবিষ্যৎ?
সুকান্ত বলেছিল সেই কবে," হে সূর্য! শীতের সূর্য!
হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত,আমরা থাকি তোমার অপেক্ষায় "
এখনো কি তুমি  ভোরের সূর্যের তাপিত আলোর অপেক্ষায় থাকো ?
এখনো কি মাগনা দামে রোদের ভিক্ষা চাও?
এখনো কি মিথ্যের ঝুড়ি নিয়ে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়িয়ে অন, সান, সুচি বলে যাবে ,
"মানবতা হয়নি ভুলুন্ঠিত,  জেনোসাইড হয়নি ওখানে, বিতাড়িত কোন মানুষ নয়, ওরা অন্য কিছু,
তাড়ানো সারমেয় অথবা নিরীহ  কোন লোকান্তরের প্রাণী!?"


হে সূর্য ওঠা ভবিষ্যৎ!
তোমরা আছো,সূর্যকে পাড়ি দেবার মই বানানোর ব্যস্ততায় ; তোমাদের নাকের কাছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে
ক্ষুধার সন্তাপে হাহাকার করে কোটি কোটি এই গ্রহের প্রাণী,
গগনচুম্বি বসবাসের ঠিকানা তোমার, তাবৎ সৃষ্টির সকল ঐশ্বর্য্য ভোগের লিপ্সায় তাড়াও সারমেয় মানুষ!


ক্ষুধার কাতরতা, রৌদ্রের মানবতা লোভের আচ্ছাদনে
কুঁরে কুঁরে খায়। তাহলে কি একবিংশ শতকের এ রজত গগনে সুকান্তের কামনার দূরত্ব বেশী নয়!?
তাহলে কি হিরক রাজার দেশের বসবাসে আছি?
আসেনা আর হ্যামিলিয়নের বাঁশি।?


হে সূর্য! সকালের রৌদ্রের স্নানে এমন তাপিত
সূর্য পাঠাবে আর কবে?
কবে সেই হ্যামিলিয়নের বাঁশির মানুষের ফুৎকারে ইঁদুরের মতো দৌড়ে দৌড়ে অসুখেরা চলে যাবে বিভৎস নদীর জলে!
কবে সেই পূবের দরজায় উঁকি দেবে নব সূর্যের ওম!  


জানো হে ভবিষ্যৎ!
কী দারুণ বিপ্লবে আছি!
বিশ্বায়নের চরমদিনে তোমাদের আঙিনায় দোল খায় আগুনের উদ্দৎ সঙ্গীন ;নাচাও তাথৈ তাথৈ হিংসার পতাকা!
থামাও! থামাও তোমার ছোবল কালো
থামিয়ে চল একবার সূ্র্যের তাপিত আলোয়
স্নান করে ফিরে যাই শান্তির বাড়ি।________________
রচনাকাল ১৩/০২/২০২০