রাত্রির ঘন অন্ধকার ভেদ করে যার ছায়ার শরীর
বারবার ছুঁয়ে যেত অবোধের ঘর
আকাশ তারায় মিলে জীবনের দিশা হতো ওই কালো গহ্বর সুরগঙ্গার।
তাকে আজ রেখে যাই
দেখে যাই খা খা শূন্য শান বাঁধা পুকুরের ঘাট
পুকুরের ওপাশের পানের বরজ
শিম বরবটি আরো আরো রকমারি ঝুলে থাকা স্মৃতির মাচান
দুঃখী এক ফালি আকাশের চাঁদ অদূরে বাঁশের বাগান
রেখে যাই আরো যত খুঁড়ে যাওয়া বেদনার গান
হৃদয়ের তন্ত্রীতে গেঁথে যাওয়া সোনালি অঘ্রাণ।


হায়! সেতো এক কিশোরী সকাল
নেমে এসে বিমুগ্ধতায় অজগর সাপের মতন  
জড়িয়ে দু'পায়, অদ্ভুত শিহরণে জাগাতো শরীর, মন
সে সকাল রেখে যাই
পাখিদের গানে আর স্মৃতির টানে, মন ফিরে আসবে  জানি: পাবো কি তখন তারে? তার ছায়া, আলোজ্বলা তারার ফুলে?
কে শোনাবে অবোধেরে সান্ত্বনার বানী?
___________________________________________