সময় তো কম পার হয়ে গেলো না
গেলেই তো জীবনের সেই দুপুরবেলায়
একখানা "রূপসী বাংলা" অথবা"" বনলতা সেন ""আর ""মন ছুঁয়ে যায় প্রতিভার কবিতায়"" কিনে আনতে।


তুমি এলেনা।


তন্নতন্ন  করে আমার বুকসেল্প, আলমারী, ডায়েরী আর কবিতার খাতাগুলোর পাতা পাতা খুঁজেও
পেলাম না তোমায়
কোন শিশিরের অলক্ত রেখায় মিলিয়ে গেলে  
জানতে পারিনি আর
তারপর কোন এক ফাগুনের আগুনলাগা সন্ধ্যায় নিজেই কবিতা হয়ে এলে
আমি সে কবিতাকেই দেখলাম চেয়ে চেয়ে।


আমাদের কাঠবাদাম গাছটার কাছে নির্জনে দাঁড়ালে
মনে হয় এখনো ঠিক ঠিক তোমাকে দেখা যায়
তুমি হেলে দুলে পাড়ি দিয়ে যাচ্ছো স্রোতের কবিতা
সকাল দুপুর কিংবা সন্ধ্যায় রোজ চেয়ে চেয়ে দেখতে
কতই না ভালো লাগে, অনন্তে মেলানো সেই হাসি।


রাতের বেলা মনের কথা শোনাবে বলে
আসন পাতি ঘরের মেঝে
আগরবাতি জ্বালিয়ে দেই ঘরময়।
দখনে বাতাস বয়ে যায় শন শন
নারিকেল গাছের শুকনা পাতার ঘর্ষণে
বুকপাতলা ওম লুকিয়ে রেখে
শস্যপূর্ণ ম্লানমুখে কাটাই সময়
অবকাশ হয়না তোমার।


আমাদের করণীয় নেই বলে
দুঃখের কবিতাগুলি প্রতিদিন ডানামেলে উড়ে চলে মনের আকাশে
রাতজাগা পাখিদের মনোময় গান আর কান্নায়
দীর্ঘতর হয় শোকের আঁধার
তোমার আর কিনে আনতে হয়না মনকে জাগানো ""রূপসী বাংলা"" আর ভালোবাসাময় কবিতার ডালি
""মন ছুঁয়ে যায় প্রতিভার কবিতায়। ""


তুমি যদি সত্যি সত্যিই আসতে বকুলের ঘ্রাণে
আলোহীন নির্জনে
তরুদের শাখে নব নব ফুলে
তাহলে তো জানান দিয়ে যেত কালের ভ্রমর
কয়ে যেতো অগোছালো মনের আলপনা।


ভ্রম হচ্ছে যাচ্ছেতাই
সুখ হারিয়ে বার বার অসুখেই কাতরাই
বার বার তর্পণ  করি স্মৃতি
স্মৃতি হারিয়েও যদি ছুঁয়ে দিতে আসতে  একবার
সতেজ তরতাঁজা হয়ে যেতো পৃথিবী আমার।
******************************
সোনাডাঙ্গা, খুলনা,কাব্যগ্রন্থঃ প্রতিভা যেওনা ফিরে