বার্মুডায় সমুদ্র স্রোতের ঘূর্ণি বলয়ে ডুবেছিলাম  
প্রবল শক্তিমত্তা নিয়ে আজো উঠবার সতত প্রচেষ্টায়
অন্তহীন এ যুদ্ধরাতে তবুও জানতে ইচ্ছে করে, আগের মতোই কি তুমি আছো তাহলে?
আমি তো জানি, বোকা বকুলের এখনো তো ঘ্রাণ আগের মতোই, বৈঠকি সুরের একই মূর্ছনা
ফাগুনের মাতাল বাতাস হারায়নি শীতার্ত  রাত
জ্যোৎস্নার অলিন্দে ধারালো মন আর
ওহ্! সেই দীর্ঘ চুমু আঁকা চঞ্চল ঠোঁট সচল এখনো।


কী যে মোহময় ভাঁজ অবাক দেহের তোমার!
মধুময় চাহনি স্বপ্নের ভাগে
বুকের স্পন্দন শুনি নীরব হলেই--
হাহাকার কেন এতো বুকের জমিনে তোমার
হলেও তো হতে পারো আরেকটু উদার
সাজাও পশার  খুব, দেয়ালিকা খুলে দাও ওই ফুলবনে
ফুটুক জোছনার ফুল আবরিত শাড়ির আঁচল
যাক উড়ে কৈশরের দুরন্ত ঘোড়া।


বসে থাকি স্বপ্নের কিনারে
যদি রাত্রির অন্ধকার ভেদ করে জেগে ওঠে আলোর কুয়াশা, যদি ফেরাতে পারি আবার আমার বর্ণিল আকাশে সৌভাগ্যের চাঁদ
তাহলেই মেলে দেবো উৎফুল্লের ডানা, উড়িয়ে দেবো
সবটুকু উল্লাস ফাগুন উৎসবে
তখন তাহলে এসো, এ গহন ঘন দুর্যোগ কেটে যাক।
-------------------------------------------
রচনা ২৪-০২-২০২০