স্মৃতির শহর
স্মৃতির শহরে হাঁটি রোজ
দিশাহীন হই হারিয়ে সময়
এখানেই বেড়েছি, কেটেছে কৈশোর।


রূপসার ঘোলা জল, ম্যাচ কারখানার কাঠ চেরাই
জাহাজ মেরামতি দেখতে দেখতে
পায়ে চালানো ব্যস্ত সাইকেলে
টুটপাড়া তালতলা মওলার বাড়ি হয়ে কতবার
ও 'পাড়ার চামেলীদের বাড়ি বায়ে রেখে
প্রেমিক হয়েছি খুব
নিয়নের বাতির মতো ধিকি ধিকি হৃদয়ের বাতি জ্বেলে
চলেছি নিশ্চুপ।


সেই স্মৃতির শহর
এ্যাডঃ মঞ্জুরুল ইমাম, মেয়র তৈয়াবুর, এইচ এম দিলদার, এ্যাডঃ ফিরোজ আহমেদ,স্পীকার  রাজ্জাক আলীর শহর।
শুনেছি শিল্পনগরী করে তুলে ছিলেন খান এ সবুর
দেখা হয় নাই তাকে
মিলগুলো বন্ধ হয়েছে একে একে
তবু ক্রমবর্ধিষ্ণু উচু দালানের শুমার নাই কোনো
কেবল মানুষগুলো আর মানুষ নাই
যান্ত্রিক হয়ে গেছে যেন।


খেলে বেড়ানো মাঠের কাছে দেখা হোল তার
কত গল্প কত কিসসা কাহিনী সিনেমার
ডাক বাংলা, পুরাতন ফেরীঘাট, শিববাড়ি, নিউমার্কেট, জোড়াগেট রেডিও বায়ে ফেলে ব্যস্ত সাইকেলে ঘুরা-ঘুরি বয়রা, বৈকালী, জংশন, খালিশপুরে।
জুট প্রেসের দেখা নাই বলা চলে
পোড়ো বাড়ি হয়ে গেছে দৌলতপুর,কী এক মায়ার টানে, নিত্য এসে এইসব খানে
কত আনন্দ কত অবিবেচক সময়
গড়িয়েছে তুমুল আড্ডায়।


এই সেই স্মৃতির শহর
স্মৃতির শহরে হাঁটি রোজ
দিশাহীন হই হারিয়ে সময়
এখানেই বেড়েছি, কেটেছে কৈশোর।
***************************