উচ্ছৃঙ্খল জঞ্জাল আর শত আবর্জনা
ময়ূরপঙ্খি নায়ে চেপে ভাসে গুপ্ত মেঘের আড়ালে।
সপ্তসিন্ধুর গায়ে অমাবস্যার ছায়া
শকুণীছানার মধ্যরাতের কান্না,
দেবালয়ের মত্স্যজীবিদের জালে ইলিশের ঝিলিক,
ভরে ওঠে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হং কং, দুবাই, কানাডা আর
সুইজারল্যান্ডের মায়াবী সিন্দুক।


অন্তরের ঘৃণা আজ মৃত্যুঞ্জয়ী ক্যান্সার
জলাতঙ্কের ভয়ে নিভু নিভু জীবন প্রদীপ।
আশার সমাধি ঘিরে সর্বহারাদের উল্লম্ফন
মণিহারা ফণী জ্বলে অশনি সংকেত।


তবুও আশার আলো জেলে রাখি
জীবন তো আর জলপ্রপাত নয় যে
শুধু পতিতই হবে? জলীয়বাস্পের মেঘ হয়ে
আকাশে উড়বেনা কোনদিন?


পতনের সিঁড়ি বেয়ে কবে উঠে আসবে
সেই হ্যামিলনের বংশী বাদক?
কবে সবে এক হয়ে পার হব
জঞ্জালের পাহাড় পর্বত?
সেদিনের অপেক্ষায় আছি।


যদি অপেক্ষার শেষ না হয়
ধরায় নেমে না আসে দেবদূত,---
তবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু আর করোণাক্রান্ত
যে দেশে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশী
সে দেশ ফেলে রেখে চলে যাব সেই দেশে
যে দেশে শালার কোন কবিই নেই, ছিলো না কোনদিন।।