ইদানিং কাকেরা বেশ আসে কবিতায়;
প্রকৃতির কবি জীবনান্দের আগে
ওদের স্থান কবিতায় হয়েছিলো কদাচিৎ,
তাই ওরা কবির কাছে কৃতজ্ঞ।


প্রকৃতির শত্রু এই মানুষেরা
ওদের কাছ থেকে শিখেছিলো
একতা, সংহতি, মিছিল...,
শ্লোগান, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ;
তবে কখনোই সেটা স্বীকার করেনা।
তাই মাঝে মাঝে ওরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে;
সংহতি সভা করে একতাবদ্ধ হয়ে
আকাশ ফাটিয়ে শ্লোগান দেয়, প্রতিবাদ জানায়...।


ওরা প্রকৃতির বরপুত্র, পচা গলা খেয়ে
প্রকৃতিকে সাফ সুতরো করে রাখে।
অথচ মানুষেরাই কিনা ওদের
কাউয়া বলে অপমান করে!...


এখন কবিরাই ওদের ভরসা
ওরা চায়, কবিরা যেন আরো
বেশি বেশি করে কবিতায়
ওদের স্থান দেয়,...


যেমন --


তোমার পাথর চোখে
কবিতার কাক হয়ে
উড়েছিনু আমি অবিরাম
নীল জলে ঢেউ দিয়ে
নীল খামে চিঠি লিখে
হাওয়ায় উড়িয়ে দিলাম...।


অথবা


প্রেমের তৃষ্ণায় যদি ফেটে যায় ছাতি
মন করে খা খা
প্রেয়সির মনের মরুদ্যানে
মিনারেল ওয়াটার হয়ে
ডাকব আমি কা…আ…কা…আ...কা...।