আঁধার নেমেছিলো সেদিন রজণীর আঁখিপাতে
সেদিন কোন্ অভিমানে শশী দেখা দেয় নি আকাশে
তা আজও অজানা হয়ে আছে,
কিছুকাল ধরে বাড়ন্ত শশীর শরীর ফুলে ফেঁপে ওঠে
একাদশির পর তার হাসি দুকুল ছাপিয়ে যায়
আকাশের গায় রাতের নির্জণতায়.................. ।


জ্যোৎস্না পিয়াসি কিছু কবি, আর
রোমান্টিক প্রেমিক প্রেমিকারা অবগাহনে নামে,
উড়ন্ত মেঘের ছায়ার আড়ালে প্রেমের উষ্ণতা খোঁজে...
জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া সেই মায়াবি রাতে
শহরের কানাগলির লেজকাটা কিছু উপদ্রবি বেওয়ারিশ কুকুর
ডাষ্টবীনের খাবারের ভাগ নিয়ে ঘেউ ঘেউ করে, আর
নদীর ওপাড়ে গ্রামের গেরস্থ বাড়ির
মুরগির খোঁজে থাকা কিছু শেয়াল জ্যোৎস্নার ফাঁদে পড়ে
নির্ণিমেষ চেয়ে থাকে ভরা চাঁদের দিকে..............।


পুর্ণশশী ভরা পুর্ণিমা রাতে
উদ্ভ্রান্ত পথিকের মত দিশাহারা বকপক্ষী ভাবে
সকাল হোল নাকি? আবার কি ফিরে যেতে হবে
ফেলে আসা জলাভুমির পাড়ে?
যেখানে ধার্মিকের মত নিশ্চুপ বসে কেটেছিলো
গতকাল সারা সকাল?
জলাভুমির পাড়ে স্বচ্ছ জলের ভেতর
মাছেদের আনাগোনা বকের চোখে নেশা---
যেনো এক হয়ে মিশে যায় প্রেমিক প্রেমিকার চোখের তারায়
জ্যোৎস্না সাক্ষী থাকে নীরবে নিভৃতে ।…


হুমায়ুন শরীফ