ভালোবাসার রেলগাড়িটা
একটু আগেই ষ্টেশনে ক্ষণিক থেমে
সিটি দিয়ে পেরিয়ে গেছে গাঁ;
কবির হাতের কলম তোমার
ভালোবাসার কাব্য লেখে
পেরিয়ে গিয়ে প্রেমের সীমানা।


তোমার আসার সময় হলেই
মনের ভিতর উথাল পাথাল
চোখের তারায় আতস বাজীর মেলা;
শিহরণের মেঘগুলো তাই
বৃষ্টি ঝরায় দেহের ভাজে
বৈরাগি ঠোট উত্তেজনায় খেলে রঙের খেলা।


মিষ্টি সুরে গুন গুনিয়ে
কন্ঠ সাধে ভৈরবি রাগ
ক্লান্তিবিহীন উদাস দুপুর বেলা;
সকাল সাঝে প্রাণের মাঝে
প্রবল বেগে ভালোবাসার ঘোড়া ছোটে
ক্ষণে ক্ষণে মন হয় উতলা।


ক্ষণ গণনা শেষ হলে পর সন্ধ্যাকালে
যাও আড়ালে মফস্বলে
নিজের কাজে ফিরে;
আমার সকল চিন্তারা সব
প্রজাপতির ডানায় বসে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে
তোমার আসার প্রতিশ্রুতি ঘিরে।


যে পথ দিয়ে ধীরে ধীরে
হেটে হেটে অবশেষে
হারিয়ে যাও রেলগাড়িতে চড়ে;
সেই পথের পাণেই চেয়ে থাকি
চোখের কোণে অশ্রু লুকাই আশা নিয়ে
ও পথ দিয়ে আবার তুমি আসবে কবে ফিরে।