গাজার পশ্চিম তীরে বসতি গাড়ে দানবের থাবা,
ভেঙ্গেপড়ে জাতিসংঘের মুখ,
রোজকার মিয়ানমারের আপাত সন্ধ্যাগুলো
ভাগ্যহীনা রমনীর মত দুয়ারে খাড়ায়;
শুন্য পাত্র হাতে বদ্ধ দুয়ারের ওপাশে
পক্ষাঘাতে ন্যুয়ে পড়া রোগীর মত কাঁপে জাতিসংঘ,
ভাগ্যাহত রোহিঙ্গাদের ভাগ্য তাতে এতটুকু কি বদলায়?


শান্তির দুত অশান্তির সুচি স্বৈরাচার
বাথটাবের কুসুম গরম পানিতে সুগন্ধি সাবান মেখে
গণতন্ত্রকে গোসল দিয়ে সাফ সুতরো করে,
তাতে এইসব হতদরিদ্রের ভাগ্য এতটুকু কি বদলায়?
ওরা ফেঁসে গিয়েছিলো সেই প্রগৈতিহাসিক যুগের
দারিদ্র নামের ফসিলে।


বৃষ্টিহীন নির্মোহ আকাশে তারার মেলা
রোহিঙ্গাদের পঁচা লাশের গন্ধে ওদের কিছুই যায় আসে না,
ওআইসি, আরব লীগ, হিউম্যান রাইটস.
ওদেরও কিছু কি যায় আসে?


মরাদেহ, পঁচা লাশ, ক্ষুধার্থ নারী শিশুর আর্তনাদে
ভেসে যায় পৃথিবীর কক্ষপথ, তবুও আমাদের কারো কিছুই যায় আসে না,
ওরা যে রোহিঙ্গা, ওদের কোন দেশ নেই, কাল নেই, পাত্র নেই
প্রগৈতিহাসিক যুগের দারিদ্র নামের ফসিলে ওদের ভাগ্য আটকে আছে ...।