এক
মধুপের গুন্জন রজনিগন্ধা মন
সুবাস ছড়ায় আলো আঁধারির ফাঁকে
সাগর বনানী হাসে চন্দ্রিমা ভালোবেসে
অনুরাধা অনুক্ষন অভিসারে ডুবে রয়
কৃষ্ণ সাগরের বাঁকে…


দুই
মন যমুনায় পানসি ভেড়ে
স্রোতের টানে এসে
ময়ুরপঙ্খী ঢেউ এর দোলায়
প্রেমের জোয়ার ভাসে.…


তিন
কথারা তবু ইথারে ভেসে থাকে
মিশে যায় কি বাতাসের সাথে?
নাকি বাতাসের আশ্রয়ে
দিনে দিনে বেড়ে ওঠে?


চার
জীর্ণ শীর্ণ বকুল তলায়
বকুল দেখি না আর
বিরহি বাতাস করে হাহুতাস
রাঙা বউ আর হয় না রাঙা লাজে
উদাস দুপুরে ভৈরবি সুরে সেথা
উদাস মনের বাউলের গান বাজে…


পাঁচ
নারিকেল বিথি ঘিরে
প্রবাল দ্বীপের তীরে
দেখেছিনু তারে পড়ন্ত বিকেলে,
সোনালী আভায় জ্বল জ্বলে মুখখানি
বার বার ঢাকা পড়ছিলো
বাতাসে দোলানো চুলে...


সে আমার প্রিয়তমা
আমার সকাল আমার দুপুর
আমার পৃথিবী আমার মধুচন্দ্রিমা.....
সে আমার নিঃসীম নীল আকাশ
আমার জোছনার চাঁদ
ঢেউ ভাঙ্গা নীল সমুদ্রের সীমানা......।।