আমাদের ছোট নদীটি ঘিরে
কত যে স্বপ্ন ছিল রাখালের বাশির সুরে
আনমনা কৃষানীর হাওয়ায় দোলানো চুলে
কৃষ্ণকায়া ধীবরের জালটানা পেশীর ভিতরে,


আমাদের ছোট নদীটি ঘিরে
কত যে আশা ছিল খেয়া পারের মাঝির অন্তরে
কতসুখ নদীপাড়ের মাছরাঙা, জলচর, উভচর গাংচিল,
কাদাখোচা আর ডাহুকের রংধনু মনের গভীরে।


জেলেদের নৌকা, আর ফাঁদপাতা
টানা জালের আশে পাশে,
শুশুকেরা মনের সুখে ডুবসাতারে
ব্যতিব্যাস্ত মৎশ্য শিকারে,


বেদণার লুক্কায়িত ক্ষোভ, আর
প্রেয়সীর উথাল পাথাল অশান্ত মনের ঢেউ
লোনা জলে মিশে, অবশেষে মিলিয়ে গেছে
ছোট নদীটির স্বচ্ছ স্ফটিক জলে।


আজ নদীটির তীরে সুদর্শন ওড়েনা আর
কার্তিকের কাকডাকা ভোরে
কুয়াশা ভেজা ঘাসে, বিবর্ণ সুর্যদয়ে, নবান্নের উৎসবে
কারো মনে পড়ে না নদীটিরে....।


কারা যেনো উজানে বেধেছিল তারে, ইট পাথরে
সেই থেকে নদীটি সম্ভ্রম হারা অতনু অভিমানে,
লজ্জায়, ঘৃনায়, ক্ষোভে, অপমানে
অকস্মাৎ আত্মহত্যা করে বসে,


জীর্ণ শীর্ণ নদীটির বুকে
আজ আর কোন জল নেই
আছে শুধু হাহাকার, আর আছে
যতদুর চোখ যায় শুধু ধু ধু বালুচর…।।