একদিন আমিও যেতে চেয়েছিলাম বনবাসে
পঞ্চ পান্ডবের বেশে, ধেড়ে ইঁদুরের মত নয়-
তামাবিল সীমান্তের ওপারে, পৌষের রাতের আধারে।
লক্ষী পেঁচার গান শুনি নিকো বহুদিন
যদিও হৃদয়ে সাঁওতাল রমনীর মত বয়ে যায় নদী
আমার অন্তরে নিশিদিন খেলা করে অচেনা দ্রৌপদি।


আমি তো অর্জুন, দুর্যোধন নই - যে উরু জঙ্ঘা স্থল
ছাড়া বাকি শরীর রেখেছিলো নিরাপদ,
কোন এক যোগীর মন্ত্র বলে-,
অথচ ভীমের কানে এই গুপ্ত তথ্যটি কে পৌঁছে দিলো?
সেও তো কোন এক রমনীর ছল!


একদিন নক্ষত্রের রাতে, সন্ধ্যা তারাদের মাঝে
আমায় খুঁজে নিও,
গোপন তথ্যটি যদি পেতে চাও,
শঙ্খ নদীর কাছে যেও।
চালতা গাছের মগডালে বাস করে যে
রুপালি ডানার চিল বোধ করি সেও
জেনে থাকবে আমার গোপন ঠিকানা,
নিত্য দিন পরখ করে আমার তীরের নিশানা।


আমার বনবাস কালে তক্ষকের সাথে রাস্নার ডালে,
ধ্যানমগ্ন ঋষির মত ড্রোন উড়াই, পরিষ্কার দেখতে পাই
আকাশের মেঘের ভেতর তিমি মাছের চোখ।
দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় অব্যর্থ তীর ছুড়ে
জিতে নেই তোমার নাকের নোলক।


তুমি আছো বলেই বার বার
বন বাসে যেতে মন চায়,
আমার বনবাস এখন
তোমার হাতের মুঠোয়।