নোনা ধরা আবেগে, চালাও তুফান বেগে
নিব ভাঙ্গা কলমের কালি।
যীশুর সোম্যকান্তি মুখে
ঝুলে পড়া লটকানো দাড়ি।
কাঁধে গেরুয়া খদ্দরের ঝোলা
ভেতরে চটি কবিতার বই দু হালি।
সন্ধ্যার অস্ত রাগে আঁকো গোধূলির ছবি।
তুমি কবি!


আকাশের সাথে বসবাস, প্রকৃতির সাথে সহবাস
মেঘের ওপারে ও রয়েছে তোমার বাড়ি।
ভড়ং ভাড়ং আর সাথে লয়ে চিত্রকরের
ফেলে দেয়া অজস্র রংএর তুলি,
আকাশের রং আঁকো মনের ক্যানভাসে,
ভাবের বাতাসে দোলাও কাব্যের হাড়ি।
ভোরের পূর্বরাগে আঁকো রবি।
তুমি কবি!


তার পর, শব্দের সীমিত ভাণ্ডার
নিয়ে কর কত খেলা, কর কত আকুলি বিকুলি।
প্রকৃতির গায়ে সযতনে আঁচড় কেটে,
পিপীলিকার হাঁটাপথ সাজাও সারি সারি ।
জ্যোৎস্না পাগল কুমির ছানার মত
প্রেয়সীর মনের চরে খাও গড়া গড়ি।
উদাস অপরাহ্ণে, সাগরের ঢেউ গোন সঙ্গোপনে
প্রেমের সাম্পানে শুয়ে আড়া আড়ি।
প্রেমিকার বাড়ির সামনে দড়ি হাতে নিয়ে
আঁকো প্রেমিকার আত্ম হত্যার দাবি।
তুমি কবি।


পাহাড়ের সাথে ঝর্ণার প্রণয় গাথা, তোমার কথকতা
শুনে লজ্জা পায় গোয়ালের খড় বিচালি।
ফাগুন রাঙায় মন, কৃষ্ণ চুড়ার বন
প্রিয়ার ওষ্ঠ মরালী হাসের মত
চাটে মনের কাঠবিড়ালী।
শরত শিশির, কাশ বন, আর মেঘের ভেলায় চড়ে
বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় দাও নীল আকাশ পাড়ি।
সন্ধ্যার রজণীগন্ধ্যা মনে একুশের ফুল বাগানে, তুমি মালি ...।
সময়ের ক্যানভাসে আঁকো বর্ণমালা র ছবি।
তুমি কবি!