আমি তখন ভাতঘুমে ঢুলু ঢুলু
জানালার কাচে বড় বড় বৃষ্টির ফোটারা
ড্যাব ড্যাবে চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে….,


হঠাৎ দেখি সভ্যতা যথারীতি জ্বলছে,
দুপুরের গনগনে রাবণ চিতায়,
যেন কারো সতিত্বের পরীক্ষা চলছে।
রমনার বিশুদ্ধ হাওয়ারা
আকাশের কুমন্ত্রণায় পড়ে কখন যেন নিরুদ্দেশ।
রাক্ষস আর খোক্কস এর ষড়যন্ত্রে
ঢাকার মেঘ কলুষিত হতে হতে,
কখন যে এসিড বৃষ্টিতে গিয়ে ঠেকবে,
সে বিষয়ে মদনের কোন বিকার নেই।
নরক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে রাজপথের হাইড্রলিক হর্ণ,
যেন ইস্রাফিলের শিঙ্গা হাতে নেমেছে যন্ত্রদানব;
বিচারপতির নিষেধাজ্ঞায়
পুলিশ কনেস্টবলেরও ঘুম ভাঙ্গে নি আজ;
জিহাদের মন্ত্রে উজ্জিবিত কিছু কাঙ্গাল
চাপাতি নিয়ে কোকিল জবাইয়ে ব্যস্ত,
যেন ওটাই বেহেশতে যাওয়ার একমাত্র পথ…।
কদবেল রাজণীতির পাকা খেলোয়াড়েরা
ওয়ার্ম আপে ব্যস্ত..,
ইতোমধ্যে ওদের অনেকের আমলনামা নাকি
নেতার হাতে পৌছে গেছে;
নেতারাও ফুরফুরে মেজাজে আছে--
এটাই যে ব্যবসার বড় মৌসুম!
রাস্তায় একদল ঘরমুখো পিপিলিকা
কাদাজল আর জ্যামে আটকে, ত্রিচক্রযানে বসে
নিজেদের কপালের নিকুচি করছে.. ।


কাধে আঙুলের টোকার সাথে
‘এই যে ভাই ভাড়া দেন’… শব্দে
চোখ মেলে চেয়ে দেখি,
কডাক্টর বিরক্ত চোখে
আমার দিকে চেয়ে আছে..।