১২/০১/২০২০, সময় – বেলা – ১১-২০ মিনিট


আমি কবি


        আমি কবি -------------
লিখে যায় কবিতা
বর্ণের সাথে বর্ণ  গুচ্ছ
শব্দের সাথে শব্দ  গুচ্ছ
মিলিয়ে প্রকাশ করি মনের ভাব ।
মনের আলপনা, কল্পনা, আবেগ-অনুভূতি,
ভাবাবেগ, প্রত্যাশা, ক্ষোভ,
প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ সব
কাব্যিকতার মাধুরী মিশিয়ে রূপায়িত করি ।  
পাঠ করে কেহ হয়তো আনন্দ  পায়
কারো বেদনায় মন ভরে যায়
হয়তো কারো দেখার সময় নাই ।


আমি কবি –
আকাশের তারায় তারায় চষে বেড়ায়
চাঁদের সাথে মিতালি করি
শুকতারার সাথে জীবনের গল্প বলি
নীল সাদা মেঘে মেঘে ভাসি
ভোরের সোনালি সূর্যের রাঙা আলোয়  মিশে
ঘুমের মানুষকে জাগিয়ে দেই ।
সূর্যাস্তের লাল রঙীন আভায়
পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ি
দিবাবসানের বারতা পৌঁছে দিই ।
    
আমি কবি –
নীল সমুদ্রের ঢেউয় ভেসে বেড়ায়
সৈকতের বালি কণায় পর্যটকদের পায়ে
ভালোবাসার আবেশ মাখিয়ে রাখি
পড়ন্ত  বিকালে নীড়ে ফেরা পাখিদের
পালকে পালকে উড়ে বেড়ায়
সকালে ভোরের পাখিদের কলরবে
ব্যস্ত  মানুষজনদের মুগ্ধ  করি
সবুজ বন-বনান্তর, ঝোঁপ-ঝাড় ও ফসলের মাঠে
প্রকৃতির রুপে একাত্ম  হয়ে
পরম সৃষ্টিকর্তার বন্দনা করি ।


আমি কবি –
কিন্তু  আমি রিক্ত  হস্ত  
অর্থ-সম্পদ, উপঢৌকন, রকমারি সামগ্রী
দিয়ে কাউকে খুশী বা সুখী করতে পারি না ।
পারি সবার  দুঃখে দুখী হতে
সু্খে সুখী হতে
হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নিতে
সুন্দরতম সব সৃষ্টির জয়গান গাইতে
অশুভ, অকল্যাণ, অমানবিকতা ও ধ্বংসের প্রতীক
যা তাকে প্রাণের  ধিক্কার জানাতে ।
পারি প্রকৃতি, ধরিত্রী, মহাকাশের মহা বিষ্ময়  
এবঙ বিধাতার বিশ্ব কল্যাণের  যত রূপ
তার প্রতি সশ্রদ্ধ চিত্তে
কৃতজ্ঞতার বাণী অর্চণা করতে ।


অবশেষে কবি’র শাব্দিক অর্থের রূপায়ন করা হল ;
ক - কবির  প্রাণে জাগে অবিরত জগতের প্রতিচ্ছবি
গাহিব মানুষের শান্তি ও মিলনের গান
সুখী হোক ধরা
হবে সে বসন্তের বাগানে ফুলে  ভরা ।
বি – বিচরিব বিশ্ব ব্রমাণ্ড
খুলে দিয়ে মনের সহস্র জানালা
সৃজিব শুভ-সভ্যতার রূপকল্প
মানবতার উর্ধেব নেই অন্য কোন গল্প ।


শরীফ নবাব হোসেন, স্যাম্ব, মীরবাড়ী, দেওয়ানহাট ।