০১/ ০৫/ ২০২০, সময় – সকাল - ১০-০০টা
বর্ণিল বারো মাস
বারোমাসে হাজার রং
বাংলার দিগন্তে
অনুপম রূপের
চিরন্তন আবাহন ।
বৈশাখ মাসে
গরম পরে
কৃষকের মাঠে
ঘাম ঝরে ।
জ্যৈষ্ঠ মাসে
ফলের বাহার
তৃপ্তি ভরে
করি আহার !
আষাঢ় মাসে
অঝোর বৃষ্টি
বৃষ্টির টানা সুর
সে কী মিষ্টি !
শ্রাবণ মাসে
বন্যা আসে
মাঠ-ঘাট, নদী
জলে থৈ থৈ ভাসে ।
ভাদ্র মাসে
তাল পাকে
মধুর মিষ্টি গন্ধ
হাওয়ায় ভরে থাকে ।
আশ্বিন মাসে
শিশির হাসে
মুক্তার মতো
গাঁয়ের দুর্বাঘাসে ।
কার্তিক মাসে
ধানের শীষে
নদীর ধারে
সাদা কাশফুলে
বাতাস দোলে
হৃদয় ভু্লে ।
অগ্রহায়ন মাসে
সোনালী পাকা ধান
কৃষকের হিয়ায়
খুশির বান ।
অগ্রহায়ন মাসে
নবান্নের গান
রকমারি পিঠাপুলিতে
ভরে মন-প্রাণ ।
পৌষ মাসে
খেজুর রসের
মাতাল গন্ধে,
গুড় বানায়
বাংলার বধূ
মনের ঐ আনন্দে ।
মাঘ মাসে
শীত জাঁকে
শিশু বৃদ্ধরা
কাথায় বাঁকে ।
ফাল্গুন মাসে
ফুলের সমাবেশ
নতুন কিশলয়ে
ভরে দেশ,
কোকিলের কুহুতান
সবুজের আহবান
স্নিগ্ধ পরিবেশ
অন্তরের আবেশ ।
চৈত্রের প্রচণ্ড খরা
রুপ তার চড়া
সবকিছু শুকিয়ে খর খরা
প্রকৃতি থাকে মনমরা ।
বাংলার বারোমাস
সাজায় মাঠে ঘাটে
অজস্র ফুল-ফল
শস্য-ফসলের চাষ ।
এরা দেয় অবারিত
সুশোভন ও সমৃদ্ধি
দেশ মাতার ললাটে
মান-সম্মান বৃদ্ধি ।
শরীফ নবাব হোসেন