০৯/০১/২০২০, সকাল – ১০-৩০ মিনিট


যুদ্ধ ও মানবতা !


মানুষ নিধনই এখন মানুষের বড় কাজ !
বিশ্বে  পাল্লা দিয়েই মানুষ হত্যা চলছে ।
যেন মানুষ মারা কোন পাপই না
বরং এটা যেন মানুষের অহংকার !
সারা বিশ্বে  শক্তিধর দেশগুলো  নিজ দেশে
অথবা অপর দেশের অভ্যন্তরে গিয়ে
বোমা মেরে, নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করছে ।


দেশের ভেতরে ভিন্ন মতাবলম্বী, স্বাধীনতাকামী,
ভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের  মানুষের
সরকারের সাথে কোন বিষয়ে  গড়মিল,
চাহিদার কোন হেরফের বা আন্দোলন সংগ্রাম হলেই
সেনা বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তাদেরকে
দেশ থেকে বিতারন, নির্যাতন বা হত্যা করছে ।
বিচ্ছিন্নতাবাদী শব্দটি কৌশলে ব্যবহার করে
দমন-পীড়ন ও হত্যা অবিরতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ।


কোন দেশে বহিঃদেশের সামরিক আগ্রাসন ঘটলে
সেখানে পানি, খাবার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ঔষধ ও
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের  চরম সংকট সৃষ্টি  হয় ।
এতে সেখানকার জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত  হয়ে পড়ে,
গোলাগুলি ও বোমার আঘাত ছাড়াও
ক্ষুধা, রোগব্যাধিসহ নানান জঠিলতায়
শিশু, নারী, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধিসহ সব মানুষ
তিলে তিলে মৃত্যুর  কোলে ঢলে পড়ে ।    
যাঁরা বেঁচে থাকে তারাও জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কাটায়,
মৃত্যুর প্রহর গুণে  ।


মানবতা এখানে অসহায় !
বন্দি  খাঁচার পাখির মতো ছটফট করছে ।
মুক্তির জন্য বিলাপ করছে ।
তার পায়ে লোহার শিকল,
সে শিকল ভাঙার চেষ্টা  করছে ।
তার মুখে শক্ত কষ্টেপ  আটা,
সে কথা বলতে পারছে না, বোবা !
তার হাত কঠিনভাবে পিছমোরা বাঁধা,
মানুষকে বাঁচাবার সংগ্রাম করতে পারছে না ।


ক্ষমতাশীল দেশের ক্ষমতাবান হিংস্র-হায়েনারুপী
নেতারা এরপরও মানবতার বুলি আওড়ায় ।
নিজেরা হত্যা-যজ্ঞে মেতে থেকে
আরেক দেশের শান্তির জন্য মায়াকান্না করে ।  
তারা হচ্ছে সারা বিশ্বের জন্য বিশ্ব অজগরের বিষাক্ত  নিঃশ্বাস ।  
এনিঃশ্বাসে জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হচ্ছে  গোটা পৃথিবী !
বিশ্ব দরবারের অবিভাবক জাতি সংঘ যে শুধু কথার ফুলঝুড়ি ।
সন্তানদের বাঁচাবার কোন ক্ষমতা তার নেই ।
সুতরাং, মানবের মানবতা অসহায়ত্বেই থেকে যায় !
এঅভিশাপ থেকে বাঁচতে হলে
যেদেশে মানব ধবংস চলে সে দেশের জনগণকেই
এর বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সচেতনতা
গড়ে তুলতে হবে, সর্ব শক্তি দিয়ে রুকে দাঁড়াতে হবে । । ।


    শরীফ নবাব হোসেন, স্যাম্ব, মীরবাড়ী, দেওয়ানহাট ।