২১/০৬/২০২০ ইং , সময় – রাত – ৭ – ০০ টা


কর্ণফুলী


প্রিয় নদীটির নাম কর্ণফুলী
হারিয়েছে এক প্রেয়সী রাজ কুমারীর কানের দুলি
এত মোহনীয় খরস্রোতা নদী
বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলন হয়েছে যদি ।


সাগরের উন্মাদ , উত্তাল ঢেউ হেসে খেলে
এসে লেগেছে দুরন্ত কর্ণফুলী র গায়ে বেয়ে
হাজারো নৌকা-সাম্পান শোভা পাচ্ছে কর্ণফুলির বুকে
ভ্রমন পিপাসুরা  জুড়ায় প্রাণ বেড়ায় মনের সুখে ।


ঢেউয়ের তালে সাম্পান দোলে
নদীর রূপ দর্শনে আপনাকে ভুলে
নদীর পারের  দৃশ্য অপরূপ মনোরম
ভাঙা-গড়ার খেলায়  মত্ত নেশায় পাগল যেমন ।


কর্ণফুলী নদী তীরে তিলোত্তমা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম
প্রাকৃতিক চারু-কারুর হাতছা্নি দিয়ে হৃদয় জুড়ায়  অবিরাম  
চারিপাশে নদী বিধৌত উর্বর চরে
হরেক রকম ফুল , ফল , শাক-সব্জী , ফসল  আছে ভরে ।


মিজোরামের লু সাই পাহাড়ের লংলেহ থেকে কর্ণফুলীর জন্ম
ঢেউয়ের উত্তাল তালে বয়ে এসে চট্টগ্রাম কে  ঘিরে ভালোবাসায় মগ্ন
হালদা নদীর মিলন হয়েছে চট্টগ্রামের কালুর  ঘাটে
এখান থেকে যাত্রা শুরু কর্ণফুলী নামে দু’জন এক সাথে ।


তিনশ বিশ কিলোমিটার  দীর্ঘ  প্রবাহমান  নদী কর্ণফুলী
দু'পাড়ের বসতিকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাষাবাদে সমৃদ্ধ  করেছে তুলি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদী এটি
সম্পদ , রূপ-লাবণ্য , লী্লানিকেতনে চিত্তপটে আছে গাঁথি ।


নদীটির গতি প্রকৃতি সুচারু সর্পিলাকার
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একাকার
নদীর মোহনা তে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্র  বন্দর
এখানে গুরুত্বপূর্ণ  অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের  হৈ-হুল্লোর ।


কর্ণফুলী নদীর উপর কাপ্তাইয়ে  দেয়া হয়েছে বাঁধ  
এ বাঁধের সঞ্চিত পানিতে হয়েছে জলবিদ্যুৎ তৈরীর ফাঁদ !
এতে আলোকিত হয়েছে দেশ
মানুষের কর্ম চঞ্চলতা বেড়েছে বেশ  !


কর্ণফুলী নদী নিয়ে কাল জয়ী গান মনকে  নিত্য নাড়া দেয়
যেমন ঃ- ‘’ কর্ণফুলী র তীরে , দখিনা হাওয়া বয় ধীরে ‘’
‘’ লু সাই পাহাড়ত্  তুন নামিয়েরে যারগই  কর্ণফুলী ‘’
‘’ কি  গান মাঝি হু্নাইলা , কি বাঁশি মাঝি বাজাইলা ,
কর্ণফুলী র সাম্পান ওয়ালা , আঁর মন হরি নিলা ‘’
অথবা – ‘’ ওরে কর্ণফুলী রে সাক্ষী রাখিলাম তোরে ,
অভাগিনী র দুঃখের হথা হবি বন্ধুরে ‘’
আরো আছে , '' ওরে  সাম্পানওয়ালা , তুই আমারে করলি দিওয়ানা ''
এসব গান মানুষকে চিরন্তন  আনন্দ ছড়িয়ে হৃদয়কে  কেড়ে নেয় ।।


তাই তো বলি কর্ণফুলী সৃষ্টিকর্তার অপার পরম দান
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে বিস্তীর্ণ জনপদ কে করেছে মহীয়ান
যেন হাজার বছরের বহমান স্বর্গীয় সুশোভন ধারা
মানুষের অকৃত্রিম আত্মার আত্মীয়  চির চঞ্চলা গতি হারা  ! !


শরীফ নবাব  হোসেন  ।