৩১/০৭/২০২০ ইং , সময় – সকাল – ৯ – ২৫ মিনিট ।
কোরবানির ত্যাগ । ।
কোরবানে আছে ত্যাগের শিক্ষা
নিতে হবে কল্যাণের দীক্ষা
ইহা পবিত্রতার মহিমায় সমুজ্জ্বল
আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি আনুগত্যে অটুট উজ্জ্বল ।
মহান আল্লাহর হুকুমে –
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তাঁর একমাত্র পুত্র
হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি দিতে হলো উদ্যত ,
এটা মহান রবের রাহে
সবচেয়ে অতীব প্রিয় বস্তু
কোরবানি করার দৃষ্টান্তে নত শিরে অবনত ।
অতএব , কোরবানির মূল উদ্দেশ্য
একমাত্র আল্লাহ কে করা সন্তুষ্ট ।
কোরবানি তে শুধু পশু জবাই নহে মুখ্য
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভুর নৈকট্য লাভে
জাগতিক সকল ত্যাগ স্বীকার ই
একমাত্র চিরন্তন আদর্শ ।
কোরবানি করা ওয়াজীব ,
কোরবানি শব্দের শাব্দিক অর্থ –
নৈকট্য অর্জন করা ,
পারিভাষিক অর্থ -
নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা
সন্তুষ্টি অর্জন একমাত্র আল্লাহর । ।
পবিত্র কোর আনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন -
‘’ আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি ,
সু্তরাং আপনি আপনার রবের জন্য
নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন ‘’ ।
(সু্রা কাউসার ঃ আয়াত – ১ ও ২ )
রাসূল (সঃ) বলেন –
‘’ সামর্থ্য থাকার পরও যে ব্যক্তি কোরবানি করবে না ,
সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে কাছে ও না আসে ‘’ ।
নবীজীর আদর্শ -
কোরবানের পশুর মাংস
ভাগ করা হয় তিন ভাগে ,
এক ভাগ ফকির মিসকিন ,
এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন
এবং
এক ভাগ নিজের জন্য রাখা ।
এটা সুষম বণ্টন ও সবার হক আদায়ের
এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ,
কোরবানে নিহিত আত্মত্যাগ ও
মানবতার চির অম্লান বার্তা । ।
শরীফ নবাব হোসেন ।