১৮/০৮/২০২০ ইং ।  সময় – রাত – ৯ -৪৫ মিনিট ।


কৃষকের কথা । ।


বাংলার চাষী , বাংলার কৃষি
আমার চিরন্তন অনুভূতির প্রাণ
তাদের সুখ-দুঃখের কথা নিয়ে
গেয়ে যাবো আজীবন গান ।


তারা করে চাষ , ফলায় ফসল
যোগাড় করে দেশের খাবার
দিনরাত খাটে , কাদা-মাটি ঘাঁটে
হাটে , মাঠে , ঘাটে সবখানে আবার ।


শীত , রোদ , বৃষ্টি ,ঝড়
তাদের নেই কোন অবসর
অবকাশ নেই শ্রান্তি , ক্লান্তি , বিনোদন
কাজের মাঝে বেঁচে থাকে সারাক্ষণ ।


তারাই তো আসল দেশ প্রেমিক
বাড়িতে , ক্ষেতে-খামারে অবিরত শ্রমিক
হতে পারে না সাহেব-ভৌমিক
অতৃপ্ত বাসনায় –যাত নায় কাটে  দৈনিক ।


কর্ষক ভাই গণ চাষ করে বারোমাস
সবুজ-শ্যামলে ভরে তুলে মাঠ
বাংলা মাকে সুখী করার প্রত্যাশা
অন্তরে লালন করে শাশ্বত ভালোবাসা ।  


ত্যাগ ই কৃষকের অক্ষয় ধর্ম
সারাজীবন গতর খাটায় কর্ম
সকাল থেকে সন্ধ্যা উৎপাদনে ব্যস্ত
খেতে পায় না মাছ , মুরগী , ডিম আস্ত ।


এরাই প্রকৃতির চির অকৃত্রিম সাহচর্য
দেশ ও দশের তাগিদে ধরে প্রাণপণ ধৈর্য
ভুবন কে গড়ে তুলে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর
সৃষ্টির উল্লাসে বিমোহিত হিয়ার মুকুর ।


চাষী রা গাছপালা , ফুল ফল , শস্য দানায়
বসুন্ধরা কে  করেছে পরিপূর্ণ  ও ধন্য
তাদের নিরলস কর্ম  বিনে
এ বসুমতীর রূপ হতো শুষ্ক , বিবর্ণ , অপূর্ণ  ।


প্রাকৃতিক দুর্যোগে  ঘটে কখনো সর্বনাশ
হঠাৎ ধূলায় মিশে মনের আশ
নতুন করে পুনঃ বাঁধে ঘর
উত্থান-পতনে , বিপদ-আপদে নেইকো ভয়-ডর । ।


কৃষক কুল মিশে থাকে মাটি ও মানুষের সাথে    
অহর্নিশি  প্রচেষ্টা  রাখবে ভরে দেশ , শাক-সবজি , ভাতে
এরা শাসন , শোষণ , অর্থ-সম্পদ আহরণে নহে ব্যস্ত
দেশ মাতার সমৃদ্ধি তে উজাড় করে জীবনের সমস্ত । ।  


আজকের কবিতা টি আমার অতি সম্মানিত প্রিয় কবি বোরহানুল ইসলামের         ‘’ বাংলার  চাষী ‘’ কবিতা থেকে প্রেরণা পেয়ে লিখা হয় । তাই আজকের কবিতা টি  প্রিয় কবিকে সবিনয়ে উৎসর্গ  করলাম । )

শরীফ নবাব হোসেন ।