১৮/০৫/২০১৯,  সময় – দুপুর – ২- ৪০ মিনিট


মাহে   রমজানের   পবিত্র   সওগাত


মাহে রমজান আসে পবিত্রতার বার্তা  নিয়ে
আত্মশুদ্ধির এক চরম  সুযোগের এ মাস
সকল রকম কলুষিত কাজ বাদ দিয়ে
সহজ, সরল, পূণ্য কাজে মগ্ন থাকা
আত্মার সব দুঃশ্চিন্তা ঘৃণায় ত্যাগে
মঙ্গলময় কাজে আপনাকে ব্যস্ত  রাখা ।


সৃষ্ট  জীবের অকল্যাণ থেকে বিরত থাকা
কর্মে, ধ্যানে, ইবাদত  হবে আল্লাহকে নিবেদন  
দান-খয়রাত, সহযোগীতায় মানুষকে আহবান
অন্যায়, অসৎ ও অসামাজিক কর্মকান্ডের নিবারণ
ইফতারি, সেহরী, তারাবী সহ সকল  ইবাদত
সহী, সুষ্ঠু ও পবিত্র গাম্ভীর্যতায়  পালনে পূণ্য করে আহরণ  ।


সকল পূণ্য কাজের অনুশীলনের মাস এ মাস
কাম, লোভ, লালসা, ভোগ পরিত্যাগে চর্চার মাস রমযান
আল্লাহর  নৈকট্য লাভের অসীম সুযোগের হাতছানি এ মাসে
শবে ক্বদর তথা হাজার রাতের চেয়েও অধিক
মহিমান্বিত রজনী রমযানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতে  ।  


রাসূল (সঃ) বলেন,
রমযানে আছে দশ দিন করে –
রহমত, মাগফিরাত ও নাযাত,
প্রথম দশ দিন বর্ষিত  হবে আল্লাহর অশেষ রহমত
দ্বিতীয় দশ দিন হবে গুণাহ সমূহ মাফ  ও
তৃতীয় দশ দিন দোযখের শাস্তি  থেকে পাবে মুক্তি  লাভ ।


হাদীস পাকে আছে,
রোযাদারের জন্য আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠ  পুরুস্কার
হাসরের দিন পাবে তাঁর দিদার ।
হাদীস পাকে আরো আছে –
রমযান মাসে একটি ফরজ আদায়ের মান
অন্য মাসে তা সত্তরটি ফরজ আদায়ের সমান ।
রাসূল (সঃ) বলেন,  এমাসে বেশী বেশী করবে ছবর
ছবরের বিনিময়ে আল্লাহ পাক দান করবেন বেহেস্তের খবর  ।


হাদীসে আরো বর্ণিত আছে –
এমাসে নফল কাজের ছওয়াবের মূল্য
অন্য মাসে তা হবে ফরজের সমতুল্য ।
রাসূল (সঃ) বলেন,  রোযা ঢাল স্বরূপ
অর্থাৎ পাপ কাজ থেকে বাঁচার উপায় স্বরূপ ।


পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে –
রমযানেই হয়েছে পবিত্র কোরআন নাযিল
এ কোরআন,
জীবন চলার সংবিধান, পূর্ণাঙ্গ,  সরল, সঠিক জীবন বিধান
ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির  
একমাত্র পথনির্দেশক অনন্য সোপান ।


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন –
মোমিনগণের উপর রমযানের রোযা করা হয়েছে ফরয,
যেমনটি তোমাদের  পূর্ববর্তী  উম্মতের উপর ছিল ফরয,
যাতে তোমরা হতে পার পরহেজগার   ! !
(সূ্রা-বাকারা, আয়াত – ১৮৩) ।


তাই আমরা চলবো অবিরত আল্লাহর রাস্তায়
সকল গুণাহ মাফে হৃদয় পবিত্র হবে পূণ্যতায় ।
জুলুম, অত্যাচার, হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ হায়
রমযানের শিক্ষায়, ত্যাগের মহিমায় নেবে বিদায় ।
আসে মেহমান পূতঃ মাহে রমযান বছরে একবার
নেক আমলের পসরা দিয়ে জানাবো  বিদায়, সালাম কোটিবার  । । ।


শরীফ নবাব  হোসেন  ।