১৫/১২/২০১৯, সময়-সকাল -১০-১২ মিনিট


মৃত্যু


ছোট বেলায় মনে করতাম
আগে মারা যাবেন দাদা,
তারপর বড় জেঠা, এরপর মেজো জেঠা,
গ্রা্মের সবচেয়ে বড় জন যিনি,
তিনিই আগে মারা যাবেন ।
পরপর ছোটরা  অথবা
যারা বৃদ্ধ হবেন তারাই আগে মারা যাবেন ।


এক সময় ভুল ভাঙল !
না, মৃত্যুর দূত কোন দিন-কাল,
সময় মানে না, কোন বয়স মানে না ।
যখন যার পালা আসবে,
তাকে মরণ ছোঁবল মারবে ।
কেহ এর কাছ থেকে রেহায় পাবে না !
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ
পৃথিবীর কেহ এর হাত থেকে বাঁচতে পারবে না,
স্বাভাবিক-অস্বাভাবি
কোন মৃত্যুই কাউকে সময় দেয় না ।


মানুষকে মৃত্যুর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয় ।
যম প্রস্তুতির সময় দিয়ে বা বলে কয়ে আসে না ।
এর বিরুদ্ধে কোন বাধাঁ, অভিযোগ, প্র্তিরোধ
বা আপীল চলে না ।


সুতরাং সময় থাকতে যার কাজ তাকে
সেরে নিতে হয় । মঙ্গলময় কাজগুলো
করে যেতে হবে জীবদ দশায়, পাপ কাজ
বর্জন করতে হবে সময় থাকতেই ।
পৃথিবীর জন্য রেখে যেতে হবে
সুন্দর  সুন্দর সৃষ্টি কর্ম ।
যাতে প্রজন্মরা ভোগ  করতে পারে অগ্রজদের অবদান ।
তাহলে ঐ ব্যাক্তির জন্ম-মৃত্যু দুই-ই সফল হবে ।


মানুষের রেখে যাওয়া সুকর্ম গুলো দিয়েই
জগৎ হবে বাস যোগ্য, হবে সুন্দর  থেকে সুন্দরতম !
পরিশেষে বলি,
সখ ও সুখের জন্য যে ঘর বাধিঁ
সে ঘর মোর নহে আপন,
ক্ষণিক পরে যেতে হবে পরপারে
সে ঘর অনন্ত কালের ।


শরীফ নবাব হোসেন, স্যাম্ব, মীরবাড়ী, দেওয়ানহাট