২০/০২/২০২০, সময় – বিকাল – ৪-৫০ মিনিট  
  
ন্যায়  বিচার  ! !


ন্যায় বিচারের  আছে সঠিক মানদণ্ড
আছে পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা
ব্যবহৃত হয় সম-অধিকারের মান ,
এটা হবে নিরপেক্ষতা ধ্যান
এতে নিহিত মানবের মান-মর্যাদার স্থান ।
এখানে নেই কোন ভেদাভেদ স্থান, কাল, পাত্র
কোন কিছুতেই দাহ্য হবে না,
টলবে না বিচারকের গাত্র !
  
কোন কোন সময় মানুষ সোচ্চার হয়ে থাকেন –
নারী ও শিশুরা  ন্যায় বিচার পাচ্ছে না  
সংখ্যালঘুর  জন্য  ন্যায় বিচার  চাই
আদিবাসীদের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা  কর
সংখ্যা গরিষ্ঠ জন্য ন্যায় বিচার নাই
বিরুধীদল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত
বা,
সরকারী দলের লোকেরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না
প্রতিবন্ধীর জন্য ন্যায় বিচার কায়েম কর
অথবা –
বিদেশী নাগরিকেরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না
ইত্যাদি, ইত্যাদি ।


আমি বলি, আমরা বলি বা আমরা জানি –
ন্যায় বিচার তো ন্যায় বিচার ই  
সঠিক বিচারের জন্য প্রত্যেক রকম জনগণের
আলাদা আলাদা আইনের ধারা বহাল আছে ।
সুষ্ঠু ন্যায় বিচার থাকলে
যে যার মতো আইন অনুযায়ী বিচার পাবেন ,
বিচারক ন্যায় বিচার করবেন ,
নির্দিষ্ট  সময়ের মধ্যে বিচার কার্য সমাপ্ত হবে ,
সমাজ ও রাষ্ট্রে  পূর্ণ  ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা  হবে ।


ন্যায় বিচারই যদি প্রতিষ্ঠা করা যায় বা হয় ,
তাহলে –
ধনী-গরীব, সাদা-কালো, নারী-পুরুষ ও শিশু,
সংখ্যা লঘু, সংখ্যা গুরু, স্বদেশী-বিদেশী,
আদিবাসী, সরকারী, বিরুধীদল,
ধর্ম,বর্ণ, গোত্র, জাতি নির্বিশেষে সকলে
সঠিক, সাম্য ও ন্যায় বিচার পাবে,
এখানে কারো জন্য আলাদা করে
ন্যয় বিচার চাইতে হবে না !


সু্তরাং মানুষের প্রথম  ও প্রধান কাজ হলো –
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব দরবারে    
বৈষম্যহীন ও সাম্যতার ভিত্তিতে
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা  করা !
এক্ষেত্রে বিচারককে হতে হবে –
স্বাধীন, নিরপেক্ষ, ভয়ভীতিমুক্ত, নিষ্কলুষ ও
শক্ত মেরুদন্ডের অধিকারী,
থাকতে হবে মানুষের প্রতি কঠিন দায়বদ্ধতা !


বিচারের বাণী নিরবে-নীভৃতে কাঁদে বা
বিলাপ করে কাঁদে  কোনটায় মানুষের কাম্য নহে ?  
ন্যায় বিচার চিরন্তন
সত্য, সুন্দর, শান্তি, সাম্য, কল্যাণ ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক ! !


শরীফ নবাব হোসেন, স্যাম্ব, মীরবাড়ী, দেওয়ান, চট্টগ্রা