০৬-০২-২০২০


পবিত্র  আল  কুরআন  ! !


পবিত্র আল কুরআন সৃষ্টি  করেছেন
স্বয়ং আল্লাহতায়ালা,
সংরক্ষন করেছেন তা সিদরাতুল  মুনতাহা্‌য়,
এর হেফাজতকারীও স্বয়ং আল্লাহতায়ালা ,
পরে পাঠিয়েছেন বিশ্ব  নবীর (সঃ) কাছে
গোটা মানব  জাতির পথ প্রদর্শক স্বরুপ ।
ইহা মানবতার দিক নির্দেশনার একমাত্র কান্ডারী
ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির সনদ,
মুমিনের চলার পথের এক শ্রেষ্ঠতম পাথেয়,
দু’জাহানের কামিয়াবের চূড়ান্ত  ও পরিপূর্ণ  জীবন বিধান  ! !


পবিত্র আল কুরআন –
দুনিয়ার শেষদিন পর্যন্ত  
হয়ে থাকবে সব মানুষের মুক্তি ও  কল্যাণের সোপান,
ইহা আল্লাহতায়ালা কর্তৃক প্রেরিত
রসুল (সঃ) কর্ম-জীবনের মাধ্যমে পৃথিবীতে  বাস্তবায়িত,
তাই আমাদের জীবনে বাস্তবায়নও অবশ্যম্ভাবী কাজ,
পরিপূর্ণ ও সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হলে,
দুনিয়া ও আখেরাতে মঙ্গল সুনিশ্চিতভাবে অবধারিত ।
এই পবিত্র গ্রন্থে  বর্ণিত আছে
মহান সৃষ্টিকর্তার  একক সার্বভৌমত্ব  ও সৃষ্টির রহস্য ।
আছে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্ররাজির স্থাপনের কথা
ও দিবা-রাত্রি যার যার গতিতে চলার কথা ।
তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত
ধরণীকে করেছেন জীব-জন্তুর জন্য সম্প্রসারিত ।


মানুষের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে -  
তোমরা সৎ কাজের আদেশ কর
অসৎ কাজের নিষেধ কর  ।
কোন ব্যক্তি  তওবা করে ও সৎ কাজ করে
সে হয় সম্পূর্ণরুপে আল্লাহর অভিমুখি ।
দয়ার কথা বলা আছে –
দয়া ঈমানের প্রমাণ
যার দয়া নেই তার ঈমান নেই ।  


হক সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে –
হক তিন প্রকার,
আল্লাহতায়ালার প্রতি  হক, মা-বাবার প্রতি হক,
ও মানুষের প্রতি হক ।
এর মধ্যে আল্লাহতায়ালার প্রতি হক পালনে ব্যর্থ হলে
তিনি মহান তা মাফ করে দিতেও পারেন,
কিন্ত মা-বাবা ও মানুষের হক
তাঁরা মাফ না করলে
আল্লাহতায়ালা মাফ করবেন না ।


ব্যবসার কথা পবিত্র কুরআনে বলা আছে –
আল্লাহতায়ালা কেনাবেচাকে বৈধ করেছেন
এবং সুদকে  করেছেন অবৈধ ,
তোমরা ন্যায্য ওজনের মাপ প্রতিষ্ঠা  কর
এবং ওজনে কম দিও না,
তিনি   প্রচলিত  করেছেন তুলাদন্ড
যাতে কেহ বৃদ্ধি না করে পরিমাপ,
অপব্যয়ের কথা বলা আছে –
অপব্যয় করে যারা
অবশ্যই শয়তানের ভাই তারা ।
কাজের কথা বলা হয়েছে –
তোমরা সালাত (নামাজ) আদায় করো  
ও  জীবিকার সন্ধানে বেড়িয়ে পরো ।
ধর্মের  সম্পর্কে বলা আছে –
ধর্মের জন্য নেই কোন জোর জবরদস্তি ।


আল কুরআনের উপরোক্ত নির্দেশগুলো মানলে ও
সবার জীবনে বাস্তবায়ন করলে,
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রিয় জীবন হবে
শান্তিময়, সু্খী-সমৃদ্ধশালী
এবং  শোষণ,বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্য  দূরীভূত হয়ে
প্রতিষ্টিত হবে একটি সুন্দর আলোকিত বিশ্ব-ভুবন  ! !


শরীফ নবাব হোসেন ।
০৬/০২/২০২০, সময় – বিকাল- ৫-০০ টা