যাচছিলাম দূরের এক অচেনা গাঁয়ে
রাস্তার দু’পাশে ঘন সবুজ ঝোপঝাড়
মাঝে মাঝে ডোবা ও পুকুর
পাশে সারি সারি পাটিগাছ
বাশঁঝাড়, লতাগুল্ন,আর গাছ পালায় ঘেরা
যে দিকে তাকায় সবুজে সবুজে ভরা ।
ডোবাতে চড়ে বেড়ায় আর খেলা করে
ঘুঘু, ডাহুক,মাছরাঙা, বক, ময়না
তাদের ডাকা ডাকিতে শান্ত প্রকৃতি
হয়ে উঠেছে উদাস মুখর
চারিদিকে স্নিগ্ধ কোমল মনোরম পরিবেশ
লতা জড়ানো বৃক্ষকূল দাঁড়িয়ে আছে অনিমেষ
বনের ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো
পানিতে পরে করছে ঝিকিমিকি ।
ঝোপ-ঝারের পর আছে অনেক বড় বিল
তাতে শোভা পাচ্ছে সবুজ ধানক্ষেত
বাতাসে দোলা দুলি করছে ধানের ডগা
রাস্তার ধারে ধারে আছে দাঁড়িয়ে
সিম, বরবটি,ঢেঁড়স,মটরের বাগান
চারিদিকে রকমারি সবজির এ দৃশ্য দেখলে
সব মানুষের জুড়ায় মন-প্রাণ ।
রাস্তার ধারে বন-লতার মাঝে ফুটে আছে
কত নাম জানা-অজানা রঙীন ফুল
দেখে হৃদয় আবেশে মুগ্ধ হয়
ভেসে উঠে আবেগে, নগর জীবনের ভুল ।
হৃদয় এখানে কাটাতে চায় আজীবন
যেন না হয় শহরের দূষিত বাতাসের যান্ত্রিকতার মরণ ।
গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে গেয়ে
প্রশস্ত স্রোতস্বিনী সাংগু নদী
নদীর বুকে ভেসে চলেছে অবিরত
নৌকা, সাম্পান, ও জেলেদের ডিংগী
ওপারে পড়েছে বিশাল পলি মাঠ
গজিয়ে উঠেছে নানা রঙের শস্য-ভাণ্ডার
প্রকৃতির হাতে সাজানো অপরুপ সৌন্দর্য
চোখ ফেরানো যায় না, নৈসর্গিক এমন প্রান্ত থেকে ।
ক্ষেতের মাঝে সরু আইল দিয়ে
কাদাতে মাখামাখি করে হেঁটেছিলাম
কাদা থেকে পা পিছলে পরে যায় বার বার
নাকে আসে কাদা, ঘাস ও ধান গাছের গন্ধ
মনে হয় গ্রাম এখনো আছে জীবন্ত
পড়ন্ত বিকেলের আমেজ, দোলা জাগে প্রাণে অফুরন্ত ।