১৯/ ০৫/২০২০ , সময় – সকাল – ১০ – ০০ টা


পবিত্র   লাইলাতুল  ক্বদর   ।।



“ লাইলাতুল ক্বদর “ অর্থাৎ  আল্লাহ তায়ালা করেছেন তাকে
মর্যাদাবান, সম্মানিত বা মহিমান্বিত রাত
‘ ক্বদর ‘ শব্দের আরেক অর্থ  পরিমাণ বা তাক্বদীর
এ রাতে পরবর্তি  এক বছরের জন্য
আল্লাহ পাক নির্ধারণ করে দেন ,
বান্দাদের জীবিকা বন্টন ,  জীবন-মৃত্যু  ও তাদের যাবতীয় কাজ ।  



‘ সূরাতুল ক্বদরে ‘  আল্লাহ পাক বলেছেন –
ক্বদরের রাত হাজার মাসের চাইতেও উত্তম
হাদীস পাকে আছে –
রমযানের  শেষ দশ দিন বিজোড় সব রাতে
লাইলাতুল  ক্বদর পাবার চেষ্টায় রত যেন থাকে,
এ পবিত্র রাত পাবার চেষ্টা  করাও রোযার অন্যতম কাজ ।


মাহে রমযানে  লাইলাতুল ক্বদর
আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত ,
তাই এ মহিমান্বিত রাতে বেশী বেশী
দান-খয়রাত করা , নফল নামায আদায় ,
কোরআন তিলোয়াত , যিকির আযকার ,
তওবা ইস্তেগফার করা , দোয়া-দুরূদ ও তাসবীহ পাঠ ,
মা-বাবা, আত্মীয় স্বজন ও সকল  মুসলিমের জন্য
প্রাণ খুলে দোয়া  করা  খুবিই উত্তম ইবাদত  । ।


এ রাতে আল্লাহর ইবাদতে রত থেকে
করবে হাজারো তওবা ইসতেগফার
আল্লাহর সমীপে তার সম্মান ও গৌরব
বেড়ে যায় বহুগুণ ও  ফেরেস্তাগণ দোয়া করেন তার তরে বার বার ।
রাসূল (সঃ )  বলেছেন , লাইলাতুল  ক্বদরে এ দোয়া পড়বে –
হে , আল্লাহ !
আপনি বড় ক্ষমাশীল
আপনি ক্ষমা পছন্দ  করেন
অতএব আমার গুণাহ মাপ করে দিন ।


তাই লাইলাতুল ক্বদরে সারারাত  থাকবো  জেগে  
ধ্যানে নিজকে মগ্ন রেখে , আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি  অর্জনে
অন্তরের  অন্তঃস্থল দিয়ে  ইবাদতে মশগুল থেকে
মহান রবের নৈকট্য লাভে  থাকবো রত ,দুনিয়াবী কাজ বর্জনে  । ।


শরীফ নবাব  হোসেন