২৪/০৯/২০২০ ইং ।
শ্রমিক । ।
শ্রমিক খেটে যায় দিনভর কায়িক
সন্ধ্যা হলে পায় পারিশ্রমিক
নেই কোন উপরি পাওনা
যখন কাজ তখন মাহিনা
কাজ নেই মজুরি নেই
ছুটি ছাঁটা , ভাতা , বোনাস ও নেই ।
যা জুটে তা-ই খায়
তাতেই তাঁরা পেট ভরে তৃপ্তি পায়
চারিদিকে কত রসনা খাবার
তাদের কপালে জুটবে কী আর ?
যখন ক্লান্তি এসে যায়
চোখ বুজে তখন ঘুম পায়
লেপ-তোষক , বালিশ ছাড়া
অনায়াসে ঘুমায় তারা ।
পথিক হেঁটে যায় মনের সুখে
পাশে পরে থাকে তাঁরা অধীর দুঃখে
কত খবর আসে দৈনিকের পাতায়
শূন্য থাকে তাঁদের পাতা টাই ।
ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শুধুই খেটে যায়
অপেক্ষায় থাকে সু দিনের আশায়
কত শ্রমিকের কত রকম কাজ
গায় গতরে খাটে নাহি লাজ ।
ঘাম ঝরে ঘাম শুকায়
অবসর-বিনোদনের অবকাশ টুকু নেই
কাজের মাঝে একটু হাসি
অভাব যে তাঁর নিত্য সাথী ।
প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পণ্য তাঁর
জুটানো অল্প বড়ই ভার
সন্তানাদি , রোগ-শোক নিয়ে
নিত্য চলে টানাটানির সংসার ।
শ্রমিকের ঘর্মের তিক্ত গন্ধে
কর্ম গুলো গেঁথে উঠে ছন্দে ছন্দে
তাঁদের অজস্র পরিশ্রমের ভিড়ে
ধনীর ভবন রাশি রাশি আকাশে উড়ে
যদিও এঁরা কোনদিন নাহি পায়
এসব জায়গায় একটু খানি ঠাঁই !
এভাবে হয় একদিন জীবনের পরিসমাপ্তি
ইহ জগতে ঘটেনি চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপ্তি
অপূর্ণ থেকে যায় অন্তরের অনেক প্রত্যাশা
তরী ভেসে যায় নিয়তির ভরসা । ।
শরীফ নবাব হোসেন ।