নির্বাক মন কলেজের সেই দোতালা ভবনটা
চুপটি করে যে দাঁড়িয়ে নিবিড়ে কবিতাকেই খুঁজি!
যেই কবিতাটা সুদূরে হারায় তখনি আঁখি বোঝি।
কখনো সবুজ মাঠে এক ঝাঁক নীলচে রঙে পরী,
হঠাৎ একটি কবিতা জন্ম নেয়, অধীতে ধরি।
সে খানে দেখতে পাই কোনো এক উজ্জ্বল কবিতা।


আবার যখন নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে
নিজের মনটা'কে আনন্দে ছাড় দেয় মুনজুরুলে
সেই কলেজের দালান থেকেই দেখি যে অবিরলে!
কায়ছার তার নেতৃত্বটা বুঝে শুনেই দেয়,
একটি রক্তজবা ফুল হাতে তুলে কবিতা নেয়।
সেখানে দেখতে পাই কোনো এক উজ্জ্বল কবিতা!


কলেজের শ্রেণি কক্ষে জন্ম নেয় হাজার কবি
মুহূর্তেই যে রচিত হয় হাজারো স্বপ্নের কবিতা
দীপ্তের ন্যয় ছুটাছুটি করে সোনালীর ছবিটা।
স্বপ্নের চাষী রাসেল কামাল সজিব সঞ্জয়
মিছিল থামেনা আপন গতিতে চলিবে নেই ভয়।
সেখানেও দেখি এক উজ্জ্বল স্বপ্নের মিছিল।


আজিজের মুখে কবিতার সুরে বজ্র উঠে কেঁপে
সিফাতের কাছে প্রতিবাদের যে মুক মন্ত্র থাকে
গম্ভীর মুখে মেহেদী জুয়েল হাসিটা ঢেকে রাখে।
সাহস জোগানো শক্তিটা করে দান রোকন ছেলে
মারুফ রবিন যতই দুষ্ট যাবেনা কেউ ভুলে।
ওদের মাঝেও লুকানো আছে'রে, দেখেছি তো কবিতা।


একটি মনকে সহজে গলিয়ে সাদি করে আপন
ইমরানের সে বাচাল বনেতে বুকের মাঝে রাখি,
নিরব মনের হামিদ সাকিব চোখ ঝুরিয়ে দেখি।
অন্য রকম এক আত্মার মিলে ডাকি মধুকে
মাসুদ বেলাল রাহাত সবাই গল জরিয়ে থাকে।
সেখানে দেখেছি একটি নিরব বন্ধন কবিতা।


রাকিবুলে সেই অভিনেতা হবে, উল্লাসিত প্রানে
নৈসর্গিক প্রতিচ্ছবিটা কুড়ায় আনোয়ার,
রাব্বির মনে ভার্চুয়াল ঘরে অর্থের পাহাড়।
মহাদেবের সে হাতটা ধরেই আসে আলমগীর
পড়ার ঘরেই নোবেল রফিক সাতশ্রেষ্ট বীর।
চোখের পাতায় দেখেছি সেই নীল কবিতা।


ক্রিকেট ব্যাটের আজাদের ছোঁয়া সঙ্গে আসলাম
দুরন্তর বেগে ছুটে চলে সেই বিজয়ী কায়ছার,
আমার দেখাতে শ্রেষ্ট শ্রেয় সাব্বিরের আচার।
রুবেল রাসেল সুজন খুবই অগ্রগতি চলে
সবার মাতুল এনামুল মামা, ডাকের রাজা বলে।
ডানপিটে এক চঞ্চলতার পাই সে কবিতা।


কবিরের সাতরঙা রূপ দেখে কবিতার পাঁজর
দৃঢ়তার সহি কবিকে দিয়েছে কবিতা কুমুদ,
বিল্লালের যে অনুপস্থিতি কাঁদিয়েছে প্রভুত।
ভুলিতে পারিনি জহিরুল আর মহসিনের কথা
ভুলিতে পারিনি হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সে ব্যথা।
জয়নাল আর রাহাতের টুপি, সুশীল ছিলো শিরে
পাখি গুলো আজ কোথায় যাবিরে, নীড় হারিয়ে নীড়ে।


সবার মাঝেই পেলাম রঙিন,নানা রং কবিতা
মনের মাঝেই গাঁথা আছে সব তোদের এ ছবিটা।