সকাল যখন ছয়টা বেজে পাঁচ মিনিট, ভোরের-
আলোয় চারদিক হয়ে আছে স্তব্ধ, রাতের তিমির
কেঁটে সবে মাত্র উঠেছে হলুদ রঙের সূর্যটা।
আমি যে তখন কাগমারি সেই চৌরাস্তার মোড়ে!
ভোরের পাখির মতো উচু করে দেই নত শির!
জয় করিতেই হবে তোমাদের এ রণতূর্য'টা


কাগমারীর ঐ চৌরাস্তা থেকে যে চারিদিকে বয়ে-
গেছে রমণীর দীঘল কেশের মতো বাঁকা পথ।
আমাকে যেতেই হবে সন্তোষের রসবিহীন পথে
সেখানে তো সব বড় বড় ভালো স্টুডেন্টরা ছুঁয়ে-
থাকে তেপান্তর! নিতে হবে খুঁজে টিউশনির রথ!
চালাতেই হবে জীবনের তরী ভাঙাচোরা রথে।


পিচ ডালা পথ একআধটুকু শীত হাতে মুঠোফোন
গায়ের উপরে জরানো দেড়শত টাকার চাদর
পায়ে ছেড়া জুতা, খুব ভয়ে আছি যায় নাকি খয়ে!
ইট পাথরের শহরে আমরা যে বার বার খুন
এক দুক্ষ গুলো আমাদের করে ভীষণ আদর
আমরা থাকি, আমরা থাকি পৃথিবীতে বেঁচে ভয়ে ভয়ে।


কাগমারির তিন ফটকের পথ পারি দিয়ে চলি
সন্তোষের ব্যস্ত সেই কিলবিলের শহরের দিকে!
এর বিপরীতিতে আছে যে নিষিদ্ধ এক ঘোর পল্লী
হতাম আমিও সেখানের কীট- ধনীর দুলালি
তাইতো আমায় ছুটতে হয়েছে তীর গড়া ঝিকে।
ভাগ্যের সন্ধানে দিতে হয় পারি জ্বেলে দেই চুল্লি।