এই নীরস ভুবন এক সময় ছিলো যে রঙ্গিলা প্রজাপতি,
আমার মনের নভেঃ সদা ঘোরপাক খেতো শরতের সাদা মেঘ
নদীর ধারে ফুঁটতো কাশফুল, হেমন্তে পিঠা আর বসন্তে-
গাছ ভরা ফুল আর কুকিলের কুহুতান, ভুলিনি আজ অবধি।


তবে কেনো এই সুর, ছেড়ে চলে গেলো পায় পায় হলো বাকহীন?
যার উল্লাসে সুর গেঁথে,গেয়ে যেতো গান- বসন্তী কুহুতান!
ফুলের মাছিরা আজ করেনা গুঞ্জন, সাদা মেঘমেদুর আঁধারে!
দিশাহীন হয়েছে যে নদী, কাশফুল ফুঁটে কি সে তটে কোনো দিন?


আমিও চুপটি করে থাকবো,ঠিক তুমি যে ভাবে আজ মুখঘুরে,
তোমাকে ডাকছে ফুল,ডাকলো পাখির দল- সাড়া দিলেনা একটু
কতক্ষণ যে দাঁড়িয়ে ছিলো তার কোনো হুঁশ নেই,সবে চলে গেলো
তুমি তো অন্যের প্রেমে অন্ধ তাই বলেছে সে দেখা করিবে পরে।


আমিও যে অভিমানী হবো তুমি পাশে গিয়ে ডাকবে ঝরবে নীর;-
কান্নার সাগরটায় ভাসবে তোমার দুটি চোখ, ডেকো ফিরে পেতে
সে দিন আর ভাঙাতে পারবেনা অভিমান, আমি শায়িত তুমি তো
কবরের পাশে আছো দাঁড়িয়ে, ভাঙবেনা যে এই অভিমান স্থির।