এই পৃথিবী আমায় চিনেছে, দিয়েছে কত শত শত নামধাম
প্রভুর চোখে হলাম মানব,লোকে দিলো যে রঙা ফরমান।
প্রিয়ার চোখে হয়েছি ভীরু, ফেলি বলে পদ শঙ্কিত ঘোর ভয়ে
রঙা ঢঙা সং আর অশ্লীলতার দেখা মিলেনি, নই শাহুরে।
ভিতু হয়েছি তো আরো অনেকের গোল চোখে, না করায় অপরাধ
নয়ন মেলে থাকিনি চেয়ে, হয়েছি অসার আসেনি যে অপবাদ।
কেউ ভেবেছে গোপনে,মেনাবিলাই চুপটি, বেশ্যার ভাত খায়
ভণ্ডের শহরের পালোয়ান আমি, চলি ভণ্ডের এক নায়।
আমি কেমন চিনেছি আমি,জানা আছে দোষগুণ আমার আমাতে
লোকের ভয়ে থাকিনি চেয়ে,আমি চলি ধার বেয়ে,সদা যামার্থে।
উন্মাদ বলে গালি দিয়ে পলায়ন করে অনেকই সদাচার
পাগল হলে দোষ কি তাতে,মানুষের প্রেমে দেই নি তো হুংকার।
আমার বাগানে ঘাসফুল ফুঁটে,ছিঁড়ে নেয় লোকে করি না বিরোধ
সত্যিই আমি পাগল,আমি পাগল,খ্যাপা,উন্মাদ অবুঝ প্রভুত।
আমি বদমেজাজির খিটখিটে ভাব,থাকি মুখফুলিয়ে স-যুগ
আমি আকাশের মেঘ,আঁচড়ে পড়ি অভয়ে আকাশের কালো মুখ।
আমি পাষাণের মতো ছিন্নকরি মাটির রোদেলা বিরাগ প্রেম,
আমি কারো কাছে হই, প্রেমের বাঁশিওয়ালা শ্রী ভগবান শ্যাম।
আমি যে নির্বোধ আছি আজো আমার মায়ের অবুঝ শিশু বালক,
আমি আমার বন্ধুর কাছে চিরচেনা নই, মজার ছলে শ্যালক।
আমি ভণ্ড পাষাণ হয়েছি,হেরে যাওয়া তম্বি প্রেমির চোখে
ভিতু প্রেমিক ছিলাম সদা-তৃপ্তের মায়ার মোহিত প্রেমির বুকে।
বদমেজাজি পাগল হলাম আপন ঘরে,নদীর স্রোতের মতো
মানব শ্যালক সব হয়েছি, বন্ধুগৃহে শূন্য এখন খত।
আমি হলাম শতক রূপের হাজার ঘরে একটি রঙা জীব
নিজে নিজেই নামটি দিলাম গিরগিটি যে আমার ঘরের দীপ।