আমার মরণ দিয়ো প্রভূ কোনো এক জুমার সে দিনে,
মরণ বেদন ভুলেই আমার বাজবে সুখের বীণে।
আপন করেই জরিয়ে দেখিবো আমার দেহের ক্ষয়
হাসি মুখে আর কলমা জপেই মৃত্যু'দে দয়াময়।


ঊষার আলোয় ফোটতে ফোটতে সবাই'কে দিয়ো জেনে
আমার জন্যই নিয়ে এসো ভাই সাদা'টে কাপড় কিনে।
বাড়ি ভরে যাবে অনেক লোকে গো মায়াকান্নার ঢেউ
সবার চোখটা অশ্রু জলের, বাঁশ কেটে আয় কেউ।


আমার কবর খুরতে যাদের কান্না আসবে চোখে
কবর আমার নাই'বা খুরলি দিসরে আমায় দেখে।
বাড়ির উঠানে পশ্চিম কোনায় মশারি টাঙিয়ে দিয়ো,
নিথর দেহের এতিম কাপড় সেটা টেনে খুলে নিয়ো।


ঠান্ডা পানিকে গরম করিতে পাটখড়ি নিয়ো এসো
দূর থেকে নিজ স্বজনে এলে, সঙ্গে নিয়ে বসো।
বরই পাতার গরম পারিতে ছোঁয়া দিয়ো ভয়ে ভয়ে
শেষ গোসলটা সাবান মেখেই সারা অঙ্গটা ধোয়ে।


আতর গোলাপ জল দিয়ো হায় নাকে কানে দিয়ো তুলো
আমার যতটা খারাপ গুণের, ভুল ক্ষমা করে ভুলো।
ভালো গুণটুকু ধরে রেখো ভাই,দিয়োনা'রে অভিশাপ
ক্ষমা চেয়ে নেই, ভুল গুলোকেই করে দিয়ো তুমি মাপ।


তারপরে চলো কাঁধে করে নিয়ে মসজিদেরি সে মাঠে
যেথায় আমার হবে জানাজার সামনে থাকিবো খাটে।
জানাজার আগে মাপ চেয়ে নিবে যদি হয়ে থাকি দেনা
আপন কাউকে দেখিয়ে বলিবে শুধ করে দিবে চেনা।


জানাজার শেষে এবার চলিবে আমার আপন ঘরে
কবর ঘরেতে তিনজন নেমে লাশটা নামাবে ধরে।
বুকের উপরে হাতটা রাখিবে করিবে শেষের দোয়া,
বাঁশের ধারিটা নামিয়ে ফেলিবে হয়ে যাবো আমি ছাঁয়া।


অনেক আদরে মাটি দিবে তারা চোখ মুছে মুছে আর
মাটি শেষ করে ছিড়ে-ছুটে আসে বাড়ি ফিরে যার যার।
কেউবা আবার মোনাজাত ধরে বলিবে হে দয়াময়
তাহার কবরে জেনো গো রহিম বেসত নসিব হয়।


এই দোয়াটাই আমার হবেই চাওয়ার নেই কিছু
জগৎ ছাড়িয়া অচিন দেশেতে ছুটি কার পিছু পিছু।
আমার লাগিরে কাঁদিওয়া কেউ কর দোয়া মোনাজাত,
রোজ হাসরেতে দেয় গো আমায় মুক্তিনামে আজাত।


২৮/০২/২০১৯ইং