সে বহুদিন আগের কথা,
হয়তো আমার জীবনের অর্ধেক সময়!
তার সাথে ক্ষণিকের দেখা হয়েছিলো,
কোনো এক রোদে ভরপুর দুপুরে।


সেদিন কথা হয়নি-
শুধু দেখিছিলাম যে,দুটি নয়নের ঘোমটা খুলে।
লালচে মাটির মাঠ ঢেকে থাকাতো দূর্বাদল-
আলিঙ্গনের আকারে,
সবুজ অরণ্যের মাঝখানে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো পাঠশালা প্রণয়।
সেখানেই তো দেখেছি প্রথম-
হয়েছিলো যে দেখা সেই অজানা সে তরুণী!


আজ ফের জীবনের রোমান্টিকতা ছেড়ে- যুদ্ধংদেহি মন কাতর,
সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার অন্তিম টেনে-
ঘরে ফিরে যবে শুয়েছি,
কখন যে নিশ্চল মধ্যরাত্রি এসে-
ঘুম ভেঙে দিলো চাঁদ,বুঝিনি!


কি তার ঝলকানি যে!
জালানায় ঝুলা সাদা যবনিকা বেধ করে চলছে।
কিছুটা ভয় লাগলো!
তবুও ভয়ে ভয়েই দেখছিলাম সেই চেনা রূপ!
এ যেনো সেই অর্ধ বয়সে দেখা বাঁকানো মুখের নিলম্বিত হাস্য।
এইতো আমার চোখ-
প্রথম প্রমের ছোঁয়া পেয়েছে পূর্ণিমির নিশিথে।


এমা, এলো কার ছবি?
অনাকাঙ্ক্ষিত এক বেদাশ্রিত দুহিতা শশীতে!
শ্রাবণের জলে ধোয়া মন!
আষাঢ়ে গজানো বাঁশবনে কুশি আম যেমন!
ঠিক তেমনি স্বচ্ছ! ঝলমলে স্বভাবের মেয়েটি ঠাঁই নিলো যে চন্দ্রে।
সে আমার বাস্তবে দেখে মনগড়া প্রেম-
প্রথম প্রণয় তুমি মাধুরি।