আমার বাবা প্রত্যেক দিন রক্ত বিক্রি করে-
তার শরীরের তিন ভাগের দুই ভাগই লাল;
বাকি এক ভাগ আছে হাড়মাস আর কালি ভরে-
মুখ ভরা অধ-পাঁকা দাঁড়ি জড়তার মহাকাল।


আমার বাবা প্রত্যেক দিন আমাদের কাঁধে তুলে-
পৃথিবীটা বাবোবার চক্কর দেয় ভাগ্যের দিকে;
শুধু রাত্রি হলে পড়ে থাকে তার দেহ তাকে ভুলে-
কখনো বলেনি তার মনের কথা, সে আছে টিকে।


আমার বাবা একজন কৃষক সেযে মানুষ চিনে-
সে জন্ম দেয় হাজারো মানুষের ভীত গড়া স্তম্ব:
সে জন্ম দেয় জাতির পিতার মতো তর্জন বীণে-
পৃথিবী থেকে উঠেছে আমার সকল বাবা লম্ব।


আমার বাবা প্রত্যেক দিন একেকটি কবিতা লেখে-
কবিতাটি'তে আজও আমি পাইনি কোনো শব্দ লয়;
কান পেতে শুনেছি সে দিন, স্তব্ধ হয়েছি রোদন দেখে-
কবিতা লেখার মন্ত্র নিয়েছি, দেখে বাবার জয়।


আমার বাবা প্রত্যেক দিন মৃত্যুর সাথেই খেলে-
বৃক্ষচরের মতোই পাতায় পাতায় ঘুরে ফিরে;
আজরাইলের সঙ্গেই তিনি মৃত্যুর কোঠায় দোলে-
প্রাণটা তাহার রোদন কোদন পরিবারটাই ঘিরে।


আমার বাবা খুবই অসহায় ভিত্তি কাঁপে ভয়ে-
আমার বাবায় কান্না করে সে একটু সুখের জয়ে!
আমার বাবা প্রত্যেক দিন হারায় উজান স্রোতে-
আমার বাবার বুক ফেটে যায় শান্তি খুঁজে জোতে-
আমার বাবা প্রত্যেক দিনই মৃত্যু বরণ করে।