আমি আর পোড়তে চাই না এই পৃথিবীর বুকে
এ যে এক অতৃপ্তি মরা, কেঁদেছি যতটা ক্ষণ
মনে হয়েছে আছি স্বর্গে তবে সুখ ক্ষণিকের,
তার কিছুকাল পরেই তো মেতেছি হাসির দুখে।
তবে বিশ্বাস করো সব, আমি কিছুটা যে হবো।


আমি হয় ড্রাইনোসরের মতো বৃহত্তর হবো
না হয় ঐ পিপীলিকার মতো এক অনুজীব-
তবে পিপীলিকার থেকেও ক্ষুদ্র জীব হতে তো
পারি, হয় সেদিন তড়িৎ চালিয়ে দেখো আমায়,
আমি তখন আমার মুখ ভরে উঁচু কথা কবো।
বলবো নিজের বাহুতেই ভর করে উঠেছি যে
তোমাদের এই পৃথিবীর পাষণ নামার বুকে।


যতটুকু পেরেছি আমাতে ততটুকুই নিয়েছি,
কারো কাছে তো অনুগ্রাহক হতে হয়নি আমায়।
আমি তখন বুক ফুলিয়ে বলবো "উঠেছি একা"
তোমাদের করুণার দান করুণায় দিছো বটে,
মনের কথা তো আর পড়া যায় না দেখে এ রূপ।


আমি যদি ভালো সাবজেক্ট পেতাম গো স্নাতকে
যদি সেটা হতো বিজ্ঞানে তবে আবিষ্কারক
হয়ে আবিষ্কার করতাম যে রূপকথার গল্পের
সেই মনোবিক্ষণ যন্ত্র।
পড়ে নিতাম, কিভাবে দিতে পড়ালেখার খরচ!
পড়ে নিতাম কার মনেতে রয়েছে কু-রটনার
সেই বিষ জ্বালাতন বিষ।


কি পেয়েছি গাছগাছালির পাতা যে কুড়াতে হয়
কোন গাছে কি রোগ হয়েছে এটাও পড়তে হয়
এটা তো মোটেও ভালো কোনো সাবজেক্টস না, জানি তো!
সেজন্যই তো পরিবার করে আজ লাঞ্চিন
মেনে নিতে হবে ব্যথাটা, মনে রেখো গো তোমরা।