আল্লাহ রসুল স্মরণ করে শুরু করছি ভাই
অভাগিনীর দুঃখের কথা আমি বলে যাই!


শুনেন শুনেন ভাইও বন্ধু শুনেন দিয়া মন
অজপাড়া গায়ে থাকতো একটি মহাজন।
নামটি ছিলো ছোরা মিয়া লোভী কারে কয়
লোভে পড়ে করছে যে ভাই অনেক কিছু ক্ষয়।


বাবা মায়ের বড় ছেলে, ছোরা মিয়া ভাই
পড়ালেখায় অগ্রাধিকার পাইছে বেশি তাই।
পড়ালেখা শেষ করে যে সুখে কাঁটবে দিন
এই আশাতে পিতামাতা করছে অনেক ঋণ।


একটা সময় চাকরি পেলো ছোরা মিয়া ভাই
চাকরি পেয়ে খুশিতে যে উড়াল দিলো তাই!
ভুলে গেলো পিতামাতা ভুলে গেলো সব
এই জগতে আমিই বড়, আমার বড় রব।


এভাবেই যে দিন কেঁটে যায়, বছর তিনেক চার
বড় লোকের মেয়ের প্রেমে পড়ে গেছে আর।
জানিনা ভাই কিসের প্রেমে পড়ছে ছোরার মন
বড় লোকের মেয়ের প্রেমে নাকি তাদের ধন।


যাই হোক তবুও করলো বিয়ে, ছোরা মিয়া ভাই
একটা সময় জানতে পারলো ছোরার চাকরি নাই
কবে জানি করছিলো'রে বিশাল অপরাধ,
চাকরি বাকরি সব হারালো শূন্য হলো হাত।


এবার করবে কি যে ছোরা ভেবে নাহি পায়
পিতামাতা সব হারিয়ে এখন কোথায় যায়।
শেষেমেশে চলে গেলো,শ্বশুড় বাড়ির পথ
এভাবেই যে জীবন তরী চললো জীবন রথ।


এখন ছোরা খেতখামারে কাজ করে যে খায়
শ্বশুড় বাড়ি থেকে কিছু অনুদানও পায়।
হঠাৎ করে ক্যান্সার হয়ে মরলো ছোরার বউ
শ্বশুড় বাড়ির অনুদানও দেয় না এখন কেউ।


ছোরার ছিলো তিনটা মেয়ে ছিলো না তার পুত
দুইটা মেয়ের বিয়ে দিলো ভেঙে ভেঙে খুদ।
ছোট মেয়ে নামটি তাহার মিষ্টি রুবিনা,
চেহেরাতে নাম্বার ওয়ান মন্দ জানিনা।


শান্তশিষ্ট নম্র ভদ্র মেয়ে রুবিনা
ভাগ্যে তাহার এমন লেখা এটা মানি না।
বাবা হলো ছোরা মিয়া লিন্সা লোভী যে
শান্তশিষ্ট এমন মেয়ে পাঠাইল যে কে?


হঠাৎ করে একদিন শুনি বিয়ে হচ্ছে তার
বিয়ের কনে সাজছে রুবি সাজছে বরে আর।
বরের বাড়ি মধুপুরে খুবই বড় লোক
বিডিআরের চাকরি করে সাহস ভরা বুক।


বড়লোকের ঘরের সাথে মেয়ের দিবে বে
বিডিআরের চাকরি করে এমন হবে কে?
পরিবার কি, ছেলেটা কে, না নিয়ে যে খু্ঁজ
বিয়ে দিলো লোভে পড়ে শুক্রবারের রোজ।


কয়দিন পরে ঘটলো একটা নতুন ঘটনা
ছেলে নাকি মিথ্যাবাদী কথা মিলে না।
তাকে জানি এখন শুধু-কে, করে ফোন কল
রেগে রেগে কথা বলে নানা গালির ঢল।


এক সময় যে, এই সব কথা ছেয়ে গেলো হায়
লোকে শুধু কথা শুনে মনে ব্যথা পায়।
মাতৃহারা মেয়েটা যে, কি যে হবে কাল
চেহেরাটা পদ্মপরী তেমন রাঙা গাল।


আস্তে আস্তে জানতে পেলো বরের ছিলো বউ
এই কথাটা কেমন করে, চায়না মানতে কেউ।
তাই তো সেদিন রাত্রি বেলায় বসে করছে জপ
পরুষ ছেলের সাহস কতো, কথা বলে টপ।


কথায় কথায় মিথ্যা বলে কেমন ছেলে ভাই,
এখন শুনি বিডিআরের চাকরিটাও যে নাই।
পরে সবাই জানতে পেলো সে যে দারোয়ান
সবাই মিলে রশি খুঁজে ছেলেটাকে বান।


একে একে সকল তথ্য মিথ্যা বনে যায়
ফুটফুটে ঐ মেয়ের জীবন নষ্ট করলি হায়
লোভে পরে ধ্বংস হলো সচল একটা প্রাণ
ধ্বংস হলো মেয়ের জীবন ধ্বংস হলো মান।


আমরা সবাই লোভের থেকে থাকবো দূরে ভাই
ছোরার মতো মানুষ গুলোর কোনো শান্তি নাই।
লোভী মানুষ থাকতে পায়না থাকতে নিজের ঘর
আপন মানুষ পর করে যে নিজেই হয়'রে পর।


সবার তরে সালাম জানাই আমি শরিফুল
ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি, করি যদি ভুল।
ভালো থাকবেন সকল বন্ধু ভালো থাকবেন ভাই
আমার জন্য দোয়া করবেন মিনতি জানাই।


এই বলে যে শেষ করেছি আজকের পুঁথি পাঠ
সবাই মিলে গড়বো সমাজ, ধরে হাতে হাত।