.
এ নিষ্ঠুর পৃথিবীতে যারা বসবাস করে-
তারা সকলেই যে একেকটি নিষ্ঠুর কবিতা।
এ নিষ্ঠুর কবিতাকে কাব্যে ফুটানোর জন্য
প্রয়োজন একটি ভয়ংকর পিশাচ কবির।


কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোনো
পিশাচ কবির আগমন ঘটেনি!
                                          - না, মিথ্যে!
ওহ-কী,একটু ভুল বললাম?
                                     -সবাই পিশাচ!
হ্যাঁ,
    -পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত যে-
কোনো মানুষ রূপী কবির আগমন হয়নি!


তারা সকলেই নরপশু রূপে জন্মায় যে!
তারা সকলেই রক্ত-মাস নিয়ে খেলা করে!
তারা পছন্দ করে বুলেটে থেতলে যাওয়া লাশ!
তারা বুলেটে ক্ষত বিক্ষত লাশের উপরে-
চাষ করে বর্ণমালা, কবি মানেই পিশাচ।


কবিরা খোঁজে বেড়ায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাসগৃহ
কবিরা খোঁজে বেড়ায় আধ-পোড়া মানুষের-
হাড়-গুড় মাংস পিণ্ড, আর মরা পোড়া ছাই।
কবিরা খোঁজে কুকুরে খাওয়া সহস্র হৃৎপিণ্ড।
কবিতা মানুষ হতে পারে না,
                                        -এরা পিশাচ!


এরা পিশাচসিদ্ধ জীবনের খোঁজ করে রাতে,
এরা ঝড়ের মাঝে বেরিয়ে যায় বটতলায়!
এরা একাকী নির্জনতার জন্য পথে পথে-
ঘুরেফিরে পাড়ি দেয় শত সহস্র মাইল।
এরা জ্যোৎস্না রাতে জ্যোৎস্না পানে যে তৃষ্ণা মিটায়।


এদের সামনে কোনো মৃত্যুর ছটফটানির যে-
মূল্য নেই, এরা হাসিমুখে দেখে যায় মৃত্যু!
এদের পাঁচ টাকায় কেনা কলমের নিব-
বেয় জন্ম নেয় প্রতিদিন হাজারো জীবন!
এরা জীবনের মানে খোঁজে কলম-ডাইরিতে।


তাই তো পিশাচ হতে হবে,
                                   - পিশাচসিদ্ধ কবি।


পিশাচ না হলে যে, কবিতা লিখাই যায় না!
পিশাচ না হলে যে ধর্ষিতা নারীর পাশেই-
দাঁড়ানো যায় না, কবিতা তো রচনা হবে না।
এসময়ের কবিতা লিখতে হলে, হতে হবে-
নির্দয় নিষ্ঠুর ভংয়কর একটি পিশাচসিদ্ধ।


চোখের সামনেই ঘটে যাবে সাইক্লোন সংসার!
পাড়ে এসেই ঢেউয়ের মতো লুটিয়ে পড়বে যে-
মা বোনের ইজ্জত, দেখতে হবে তোমাকে-আমাকে।
তুমি আমি আহ্ ওহ্ করে ভাগিদার হবো।
কিন্তু পিশাচসিদ্ধ কবি লিখে যাবে হাসি হেসে।


৫ আষাঢ় ১৪২৭; ভিয়াইল