দরজায় দোল খায় রাংতার দেহাবশেষ -
কদিন আগেই যা ছিলো জ্বলজ্বলে চোখ ধাঁধানো।
রঙ্গিন রাংতার জীবনটাই যেন এমন
যখন দরকারের তখন জ্বলজ্বলে
দরকার ফুরিয়ে গেলো তো
শুরু হলো রঙ হারানো দেহ হারানো।
দরজার ওপাশেও একই অবস্থা
এমনকি বাড়ির কোণগুলোতেও
শুরু আর শেষের দিকে অনেক ফারাক।
রাংতার রঙ ফুরায় আর রাংতা রঙ হারায়
বাতাসে দোল খেতে খেতে
শুকনো ফুলের মতো
একটু একটু করে হারায় দেহের অংশ।
শুকনো ফুলের তাও তো একটা গতি হয়
কারও বইয়ের ফাঁকে
কারও প্রথম চিঠির খামে
কারও বা খেরো খাতায়।
রঙ্গিন রাংতার সে সব কপালে নেই।
যত যত্ন করে লাগানো
ঠিক ততটাই অযত্নে ছিঁড়ে ফেলা।
নির্বাচনী পোস্টারটাই রাংতার সমব্যাথী।
নির্বাচন চলাকালীন কি তার গৌরব
তাকে নিয়ে রীতিমতো মল্লযুদ্ধ লাঠালাঠি
যেন কোন ভাবে একটুও ঢেকে না যায়, টসকে না যায়।
লাগানোর আঠাও এমন ভাবে বানানো
যাতে পোস্টারের ভার দেয়ালে ধরে রাখতে পারে।
যেই নির্বাচন গেলো অমনি -
ছিঁড়ে চুলোয় না হয় ভাগাড়ে দেবার পালা।
শুকনো রাংতা দোল খায় সুশোভিত খাটের আড়ায়
যেমন দোল খায় শাহিনার নীল স্বপ্ন
লাল শাড়ির সর্পিল আতঙ্কে
মেঝে থেকে মাত্র দুই হাত উপরে।
হাতে তার মেহেদীর রঙ গায়ে সুগন্ধি ব্যাসন
এখনো গন্ধ হারায়নি কোনটাই।
রাংতার রঙ বড্ড বেশি জ্বলজ্বলে আজ
আকাশটা কালো আলোয় জেগে রয়।


২৫.০৯.২০১৮, মনরোভিয়া, লাইবেরিয়া